দিনে ১০০টিরও বেশি সিগারেট খেতেন শাহরুখ খান!

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৫ পিএম, ০৮ মে ২০২২

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতাদের একজন কিংখান খ্যাত শাহরুখ খান। পুরো বিশ্বজুড়ে তার ভক্তের সংখ্যা অগণিত। প্রিয় তারকাকে অনুসরণ করতে ভুলেন না ভক্তরাও। তবে শুধু কি ভালোকে ঘিরেই প্রিয় তারকার জীবন। প্রায়ই তারকাদের ধূমপান বিরোধী প্রচারণায় দেখা যায়।

তবে শাহরুখ খানের একটা নেশা আছে যেটা আমরা সবাই জানি। সেটা হলো ধূমপান। এমনকি শাহরুখ নিজেও ধূমপান আসক্তি সম্পর্কে ভক্তদের সঙ্গে সর্বদা স্বচ্ছ ছিলেন।

২০১১ সালে নিজের স্বাস্থ্য এবং ঘুমের অভ্যাস নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শাহরুখ বলেন, ‘আমার ঘুম আসে না। দিনে প্রায় ১০০টি সিগারেট এবং ৩০ কাপ ব্লাক কফি পান করি। আমি তেমন পানিও পান করি না। আমার সিক্স প্যাক আছে। আমার মনে হয় আমি নিজের যতো কম যত্ন নিই। তত বেশি যত্ন নেওয়া হয়।’

একই সাক্ষাৎকারে কিং খান তার খাবারের প্রতি ভালোবাসা সম্পর্কেও জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে দিল্লিতে তার বাবার রেস্তোরাঁর কথা জানান। যার বিশেষত্ব ছিল পাঠানি খাবার। অন্যদিকে তার মা আশ্চর্যজনক হায়দরাবাদি খাবার রান্না করতেন। সেখান থেকেই খাবারের প্রতি তার ঝোঁক তৈরি হয়। প্রকৃতপক্ষে যতদিন পর্যন্ত তার মা বেঁচে ছিলেন তিনি সর্বদা অভিনেতাকে নিজের হাতে খাবার খাওয়াতেন।

দিল্লির খাবার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শাহরুখ বলেন, ‘আমার বাবা রেস্তোরাঁর মালিক ছিলেন। আমরা আসলে রেস্তোরাঁর মালিক ছিলাম। তাই বাটার চিকেন আর নানের কথা মনে আছে। তারা দুজনেই খুব ভালো খাবার রান্না করতেন। আসলে আমি রেস্তোরাঁ পছন্দ করি না। এতদিন বাবা আর মায়ের হাতের খাবার খেয়েছি। যখন আমার বয়স ২৬। তখনও আমার মা আমাকে খাইয়ে দিতেন। তাই আমি এখনো হাত দিয়ে খেতে জানি না। এই কারণে আমি রেস্তোরাঁয় যাই না। কারণ আমি একটু লজ্জিত বোধ করি।

এছাড়াও আমার মনে হয়। তাদের রান্নার মতো সুস্বাদু খাবার খুঁজে পাই না। তাই যখন আমার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার বাইরে যায় তখন খাবার শেষ হলে আমি তাদের ফোন করতে বলি। যেন তারা আমার জন্য বাসায় খাবার নিয়ে আসে। আমি বাড়িতে বসে খাই। খাওয়া শেষ হলে কফি পান করি।

আমার প্রিয় রেস্তোরাঁ ম্যাকডোনাল্ডস কিংবা কেএফসি হবে। কারণ আমার বাচ্চারা এটি পছন্দ করে। আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় যাই, কিন্তু খুব কম।’

এলএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।