স্বাধীনতা দিবসে রাবিতে স্থির প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতি চর্চার সংগঠন সংস্কৃতায়ন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৫-২৬ মার্চ সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবন সংলগ্ন সংস্কৃতায়ন অঞ্চলে ‘বাঙ্গালীর আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ’ শিরোনামে স্থির প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
একাত্তরের কালোরাত্রি, মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধ পরবর্তী ৬০টি গুরুত্বপূর্ণ ছবি এই প্রদর্শনীতে স্থান পায়। ছবিগুলো ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগ্রহশালা’ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। ছবিগুলো দেখলে সহজেই একাত্তরের যুদ্ধ এবং সেই বিভীষিকাময় সময় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
সংস্কৃতায়নের আহবায়ক ও নাট্য কলা বিভাগের শিক্ষক ডা.আমিরজ্জামান বলেন, ‘সংস্কৃতায়ন বিশ্বাস করে বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেবে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতির আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি সুগঠিত হবে। সঠিক ইতিহাসের চর্চার ভেতর দিয়েই সুন্দর আগামীর বিনির্মাণ সম্ভব।
বাংলা ও বাঙালিরগৌরবোজ্জ্বল সংগ্রাম ও ইতিহাসের ধারায় নতুন প্রজন্ম মননে ও কর্মে সেই আলো বিকিরণ করে জাতিকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবে - এই স্বপ্ন ও প্রেরণায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সচিত্র ইতিহাস প্রদর্শনীর এই আযোজন করা হয়েছে।’
সংস্কৃতায়নের সচিব, নাট্য কলা বিভাগের শিক্ষক সুখন সরকার বলেন, ‘আসলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবিগুলো সাধারণ মানুষের কাছে সেভাবে পৌঁছাতে পারেনি। প্রদর্শনীর আয়োজনের মাধ্যমে আমরা জাতীয় চেতনার রেশ সাধারনের কাছে পৌঁছাতে চেয়েছি। বাঙালির গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, দেশবোধ, অসাম্প্রদায়িকতা, জাতীয়তাবাদের জায়গাগুলো শাণিত করা এবং সাংস্কৃতিক চেতনাবোধ জাগানোর জন্য সংস্কৃতায়ন কাজ করে যাচ্ছে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ছাত্রী শান্তনা ঘোষ বলেন, ‘বাঙালির আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে প্রামাণ্য দলিলগুলো এই প্রথম দেখলাম। এই দলিলগুলো আরও বেশি দেখানো উচিত। তাহলে বাঙালির আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে আরও আগ্রহী হবে সবাই।’
চিত্র প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ড.সাদিকুল ইসলাম সাগর, নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি ড. এস এম ফারুক হোসাইন। আরও ছিলেন রাবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ড. হামিদ, ড. নজরুল ইসলাম, ড.সাখাওয়াত হোসেন, ড.ফারজানা রহমান ছাড়া অনেকে।
এমআই/এলএ/এমএস