দিলারা-সুবর্ণাসহ মাস্তুল ফাউন্ডেশন সম্মাননা পেলেন ১৮ নারী

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৭ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেশের অসামান্য ১৮ জন নারীকে মাস্তুল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এই নারীরা যার যার আঙিনায় প্রত্যেকেই তারকা।

আজ ৮ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’। এই উপলক্ষ্যে মাস্তুল ফাউন্ডেশন প্রথমবারের মতো বিভিন্ন অঙ্গনে খ্যাতি অর্জন করা ১৮ জন নারীদের সম্মাননা প্রদান করলো।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে শোবিজ থেকে সম্মানিত হয়েছেন বর্ষিয়ান অভিনেত্রী দিলারা জামান, মাননীয় সাংসদ এবং অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা, অভিনেত্রী রোজি সিদ্দিকী, প্রযোজক এসা ইউসুফ, পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী, সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর।

আরও সম্মাননা পেয়েছেন সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব নীলিমা আখতার, পুলিশ সুপার সিদ্দিকা বেগম, ব্যবসায়ী গীতিয়ারা সাফিয়া চৌধুরী, ডা. আয়েশা আকতার, ডা. নাজিয়া বিনতে আলমগীর, শিক্ষিকা সুফিয়া ফেরদৌসি, সাংবাদিক মুন্নি সাহা, স্থপতি সাজিয়া ইসলাম অন্তন, বিউটিশিয়ান আফরোজা পারভীন, উদ্যোক্তা সামিয়া আফরিন এবং ডিজাইনার নুসরাত আক্তার লোপা।

মাস্তুল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সবার কর্মস্থলে গিয়ে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সম্মানিত সকলেই মাস্তুল ফাউন্ডেশনকে সাধুবাদ জানান। মাননীয় সাংসদ এবং অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, তিনি মাস্তুল ফাউন্ডেশনকে একটি অহিংস এবং ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চান। যেন সমাজের সবাই একইভাবে উপকৃত হতে পারে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সমাজের মৌলিক জায়গাগুলোতে কাজ করার আহ্বান জানান সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। মাস্তুল এতিমখানার বাচ্চাদের সাথে এসে সময় কাটানোর ইচ্ছা পোষণ করেন অভিনেত্রী রোজি সিদ্দিকী, সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর এবং ডিজাইনার নুসরাত আক্তার লোপা।

এছাড়াও তারা তাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানের সাথে মাস্তুল ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে সমাজের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক জনাব কাজী রিয়াজ রহমান নারী দিবসে সকল নারীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘নারী আমাদের সমাজের শক্তি, তাদের একাংশকে ধন্যবাদ দেয়ার একটা ছোট্ট প্রয়াস এটি।প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা তাদের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা আরো বড় আকারে আমরা অব্যাহত রাখতে চাই।’

প্রসঙ্গত, মাস্তুল ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর। প্রথম দিকে শুধু পথশিশুদের নিয়ে কাজ করত তারা। বর্তমানে তাদের ২২টি স্কুলে ১,১০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। সুবিধাবঞ্চিত গরিব শিক্ষার্থীদের স্কুলব্যাগ, জুতা, মোজা, বই, খাতাসহ সব শিক্ষা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করছে তারা। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুষ্টিকর খাবার, শিশু অধিকার, মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা দিতে কাজ করে যাচ্ছে।

এর বাইরে যাকাত ফান্ডের সাহায্যে স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে ৬৭০ জনকে স্বাবলম্বী করে তোলা হয়েছে। মাস্তুল ফাউন্ডেশন থেকে মৃত ব্যাক্তিদের জানাজা, দাফন কাফন কার্যক্রম ও সৎকার করা হয়ে থাকে। করোনাকাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯৫০+ মানুষকে বিনামূল্যে অক্সিজেন ও ৯৫০+ মানুষকে এ্যাম্বুলেন্স এবং ১২১০+ মানুষকে দাফনসেবা ও ৬৭০+ মৃতদেহের গোছল নিশ্চিত করেছে মাস্তুল ফাউন্ডেশন।

মাস্তুলের স্বপ্ন এক দিন নিজেদের একটা স্থায়ী জায়গা হবে, যেখানে বিনামূল্যে শরীয়ত মোতাবেক সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের শেষকার্য সম্পাদন করা হবে।

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।