জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ


প্রকাশিত: ০৭:৫১ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত মাস্টার্স ভর্তিতে আগের নিয়ম বহাল রেখে ভর্তি নিশ্চয়তার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যায়ের নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্যদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
 
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শুরু করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যাললে ভিসি প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদ নিজ গাড়িযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালরে মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা ভিসির গাড়ির গতিরোধ করে তাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য স্লোগান দিতে থাকে। কেউ কেউ ভিসির গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে ভিসি গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, বিগত তিন বছর ধরে ছাত্রদের সমস্যা সমাধান করার জন্য, সেশনজট দূর করার জন্য, পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠানের জন্য, ফলাফল তিন মাসের মধ্যে ঘোষণা করার জন্য দিন রাত আমরা পরিশ্রম করছি। এখনতো ফলাফলের জন্য তোমাদের অপেক্ষা করতে হয় না। শিক্ষা জীবন ঝড়ে যায় না। ছাত্রদের যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বাত্মকভাবে সব সময় চেষ্টা করি। এর জন্য অবরোধের প্রয়োজন নেই, বসে থাকার প্রয়োজন নেই। এখানে আসারও প্রয়োজন নেই। তিনি ১৭ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ৫ জন প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা শুনে তা সমাধান করার কথা বলেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ভিসির প্রতি দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভিসি তার গাড়িতে উঠে চলে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীরা ফের তার গাড়িকে ঘিরে ধরে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সরাতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় ভিসি ঢাকার দিকে চলে যান।

এ সময় শিক্ষার্থীরা গেইটের বাইরে থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢিল ছুঁড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সংবাদ লেখার সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করছে।

আমিনুল ইসলাম/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।