সংগীত পরিচালনা নিয়ে বিতর্ক: জিডি করলেন বেলাল খান
ঘোষণা করা হয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০’র বিজয়ীর নাম। সেখানে ‘হৃদয়জুড়ে’ ছবির ‘বিশ্বাস যদি যায় রে’ গানের জন্য সংগীত পরিচালক হিসেবে নাম রয়েছে বেলাল খানের। এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সংগীত পরিচালক এম এ রহমান।
তাই থানার দ্বারস্থ হলেন সংগীতশিল্পী বেলাল খান। তিনি জিডি করেছেন এম এ রহমানের বিরুদ্ধে।
আজ রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) লিপিবদ্ধ হওয়া সাধারণ ডায়েরিতে বেলাল খান উল্লেখ করেছেন, এম এ রহমানের আচরণ অসম্মানজনক ও হুমকিস্বরূপ।
হাতিরঝিল থানায় করা জিডিতে অভিযোগ করা হয়, ‘বিবাদী মোহাম্মদ আশিকুর রহমান (এম এ রহমান) আমার নির্দেশনায় শুধু একজন মিউজিশিয়ান হিসেবে কাজ করেছেন। যেভাবে অন্য মিউজিশিয়ানরা করেন। অথচ তিনি নিজেকে উক্ত গানের সংগীত পরিচালক দাবি করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যা সাংবাদিকসহ সুধীজনদের ট্যাগ করে।
যাতে উক্ত গানের প্রকৃত সুরকার, সংগীতপরিচালক ও গায়ক হিসেবে আমার জন্য সত্যিই অসম্মানজনক ও দুঃখের।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘হৃদয়জুড়ে’ ছবির পরিচালক রফিক সিকদার ফেসবুকেও জানিয়েছেন, তিনি এম এ রহমান নামের কাউকে ‘বিশ্বাস যদি যায় রে’ গানের কাজ দেননি ও চেনেন না। এম এ রহমানের এমন দাবি বেলাল খানের ক্যারিয়ারের জন্য হুমকিস্বরূপ বলেও উল্লেখ করেন এ গায়ক।
জিডি প্রসঙ্গে বেলাল খান বলেন, ‘আমাকে ছোট করতে তিনি (এম এ রহমান) এ কাজটি করছেন। যারা সংগীতে কাজ করেন, তারা ভালো করেই জানেন কীভাবে গান সম্পন্ন হয়। গানটিতে বাবু ও মীর মাসুদ ভাইয়ের মতো এম এ রহমানও একজন অ্যারেঞ্জার হিসেবে যুক্ত ছিলেন। কেউ যদি একটা স্ট্রিং বাজান আর দাবি করেন, তিনি সংগীত পরিচালক- তাহলে তো হবে না।
বিশ্বাস যদি যায় রে ভেঙে’ গানটি প্রকাশিত হয়েছে আড়াই বছর আগে। এত পরে কেন তিনি প্রতিবাদ করছেন? কারণটা কিন্তু জাতীয় পুরস্কার। হয়তো বিতর্ক সৃষ্টি করে এই পুরস্কারটা বাতিল করতে পারেন, কিন্তু আমি পিছু পা হবো না, যা সত্যি তাই বলবো ‘
এদিকে এম এ রহমানের দাবি, গানটির প্রকৃত পরিচালক তিনি। এজন্য তথ্য সচিব বরাবর আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন আজ। যেখানে বেলাল খানের নাম বাদ দিয়ে তার নাম যুক্ত করার দাবি করা হয়েছে।
এম এ রহমান পক্ষে আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেজবা উদ্দীন শরীফ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এলএ/জিকেএস