উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের বর্ধিত বেতন প্রত্যাহারের দাবি
বর্ধিত বেতন প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক ফোরামের নেতৃবৃন্দ। রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের নেত্রী শামিমা সুলাতানা রেখসোনা অভিযোগ করেন, গতকয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন রকম অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় শিক্ষার মান ও পরিবেশের দিনের পর দিন অবনতি ঘটছে। দক্ষ শিক্ষকের অভাবে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পাঠ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে অধ্যক্ষ পদটি শূন্য থাকলে কোন যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ না দিয়ে কর্তৃপক্ষের আজ্ঞাবহ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে পতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, ২২ অক্টোবর ২০১৫ সাল থেকে সরকারিভাবে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ থাকলেও অধ্যক্ষ স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিধিবহির্ভূতভাবে একত্রে ৬০ জন শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষক নিবন্ধন সনদ না থাকা সত্ত্বেও ২০১৩ সালে ৪২ জন প্রভাষক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখায় বাৎসরিক আয় প্রায় চার লক্ষাধিক টাকা আয় হলেও অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ২৮ লাখ টাকা বেতন দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বাৎসরিক তিন শত থেকে এক হাজার আট শত আইটি চার্জ নেয়া হলেও কোনো আইটি সুবিধা দেয়া হয় না। ৯ হাজার ৩ শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বছরে আদায় করা হয় দুই কোটি উনআশি লাখ টাকা। কিন্তু এই আয় সম্পর্কে অভিভাবকরা অবগত নয়।
তিনি আরো বলেন, কোচিং নিষিদ্ধ করা হলেও স্পেশাল ক্লাসের নামে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মাসিক বেতনের সমপরিমাণ আদায় করা হয়। ২০১৬ সালে টিউশন ফি প্রায় দ্বিগুন করা হয়েছে কোন রকম না জানিয়ে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লিখিতভাবে জানালেও কোন সমাধান করা হয়নি। ২০১৬ শিক্ষা বর্ষে ধার্যকৃত বর্থিত বেতন ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার করে রাজধানীর আইডিয়াল ও ভিখারুননিসা নূন স্কুলে সাথে সামাঞ্জস্য রেখে বেতন নির্ধারণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাইফুদ্দিন বাবু, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান, রেহেনা আক্তার শিরিন, আঞ্জুমানা আলমসহ শতাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। এর আগে বিদ্যালয় থেকে অভিভাবকর ভিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এনএম/এসএইচএস/এমএস