জায়েদ-নিপুণের পদ নিয়ে শুনানি সাড়ে ১১টায়
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে দুই সপ্তাহ আগে। কিন্তু ভোটের ফল নিয়ে ঝামেলা মিটছেই না। সমিতির সদস্যদের ভোটে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। পরে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তে জায়েদের পদ বাতিল করে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
এরপর হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। হাইকোর্ট আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করলে নিজের পদ ফিরে পান তিনি। পরে আপিল আবেদন করেন নিপুণ।
ওই আপিল শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছিলেন চেম্বারজজ আদালত। এরপর সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত। এ সময়ের মধ্যে জায়েদ-নিপুণ কেউ সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না বলেও জানান আদালত। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদটি আপাতত শূন্য রয়েছে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। সেখানেই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে পারে। ফলে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে কে বসছেন এ নিয়ে সবার দৃষ্টি এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নুরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কৃষ্ণাদেব নাথ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ৭নং আইটেমটি সাড়ে ১১টায় সবাই (সাত সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ) একসঙ্গে শুনবো। নতুন একটি কার্যতালিকা (কজলিস্ট) তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ অফিসারকে নির্দেশ দেন।
এর আগে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের আপিলের শুনানি নিয়ে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার আদালত এসব আদেশ দেন।
ওইদিন নিপুণের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, চেম্বার আদালতের আদেশের ফলে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) থাকলো। তার মানে সম্পাদক হিসেবে কেউই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
তারই ধারাবাহিকতায় রোববার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে নিপুণের আপিল আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন।
এফএইচ/আরএডি/বিএ/এমএস