বহুদিন পর বাংলার ঘরে ঘরে সিনেমাকে পৌঁছে দিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন
ভোটগ্রহণ তখন সবেমাত্র শেষ হয়েছে। গণনাও শুরু হয়নি৷ হঠাৎ আসতে থাকে একের পর এক কল। এফডিসিতে অবস্থানরত দুই শতাধিক ও কয়েক শত শিল্পী৷ প্রায় সবার কাছেই কল আসতে থাকে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন জিতেছেন কি না, জানতে চেয়ে।
এসব কল ছিলো যেমন ঢাকার মানুষদের তেমনি অনেকের বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়স্বজন যারা ঢাকার বাইরে থাকেন তারাও জানতে চাইছেন ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের জয় সম্পর্কে৷
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্ধ্যার পর থেকেই কাঞ্চন-নিপুণকে অভিনন্দন জানানোর বন্যা বয়ে গেছে। এসব দেখে বোঝা যায়, এবারের নির্বাচনে সবার আগ্রহ কাঞ্চন-নিপুণ প্যানলকে ঘিরেই।
মূলত নির্বাচনে আসছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই সারা দেশে আলোচনার জন্ম নেয়। ঢাকাই সিনেমাকে বহু সুপারহিট সিনেমা উপহার দেয়া এক সুপারহিরো ইলিয়াস কাঞ্চন৷ দেশের সর্বাধিক ব্যবসা সফল 'বেদের মেয়ে জোছনা' সিনেমার এ নায়ককে দেশের মানুষ অন্যরকম মর্যাদার চোখে দেখে৷
পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন দিয়ে তিনি কয়েক প্রজন্মের কাছে এক মানবতাবাদী আদর্শের প্রতীক৷ নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েও এ প্রজন্মের শ্রদ্ধা পেয়েছেন তিনি৷ তাই তার জয় কামনা করছেন সারাদেশের মানুষ।
শুক্রবার এফডিসিতে এক ভোটার নৃত্যশিল্পী জানান, তিনি মগবাজার থেকে এফডিসিতে আসেন রিকশায়৷ তিনি ভোট দিতে যাচ্ছেন শুনে রিকশাওয়ালা তাকে অনুরোধ জানান যেন ইলিয়াস কাঞ্চনকে ভোট দেন। দিনভর এ বিষয়টি আলোচনায় ছিল এফডিসিতে।
বহুকাল এদেশের সিনেমা এভাবে সাড়া দেয়নি বাংলার মানুষকে৷ কাঞ্চন নির্বাচনে এসে সেই সাড়া ফেলেছেন। ছোট বড়, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে সিনেমার প্রতি আগ্রহী করে তুলেছেন তিনি। যার ফলে ৪২৮ জন ভোটারের একটা ছোট্ট সমিতির নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আমেজ নিয়েছে।
ইলিয়াস কাঞ্চন ও তার প্যানেলের হারজিত যাই হোক সবাই ধন্য ধন্য করছেন এ নায়কের, চলচ্চিত্রের এ ক্রান্তিলগ্নে শিল্পীদের অভিভাবক হতে এগিয়ে আসায়৷
এদিকে একুশে পদকজয়ী একজন অভিনেতা শিল্পী সমিতির সভাপতি হবেন এই বিষয়টাকে আনন্দের চোখে দেখছেন চলচ্চিত্রের মানুষেরাও।
এলএ/এমকেআর