সকালে শিমুর মরদেহ উদ্ধারের পর রাতে পরিচয় শনাক্ত করে পিবিআই
কেরানীগঞ্জ থেকে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় অজ্ঞাত হিসেবে শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর পরিচয় মিলছিল না। এরপর রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) পিবিআইয়ের ঢাকা জেলা ইউনিটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহ উদ্ধারের পর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টার জন্য পিবিআইকে খবর দেওয়া হলে পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পর তার নাম-পরিচয়, বয়স ও বাসার ঠিকানা শনক্ত করে পিবিআই।
এর আগে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার জানান, পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল।
জানা যায়, স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরদিন সোমবার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার ভগ্নিপতি নোবেল প্রায়ই শিমুকে মারধর করতেন। তিনি মাদকাসক্ত।
এর আগে গতকাল সোমবার কেরানীগঞ্জ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তার মরদেহ রাখা হয়েছে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড) মর্গে। সেখানেই শিমুর স্বামী ও গাড়িচালক ফরহাদ গেলে তাদের আটক করে র্যাব।
টিটি/ইএ/এএসএম