শিমু হত্যার বিচারের দাবিতে সোচ্চার চলচ্চিত্র শিল্পীরা
চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু খুন হয়েছেন। গতকাল সোমাবার সকাল ১০টায় কেরানিগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই হত্যাকান্ড নিয়ে চলচ্চিত্রের অঙ্গনের শিল্পীরা সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।
পাশাপাশি এরকম ঘটনা আর যেন না ঘটে তার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করছেন।
অভিনেতা ওমর সানী ফেসবুকে লেখেন, ‘শিমু অনেক ছবিতে অভিনয় করেছে, আমাদের বরিশালের মেয়ে, তাকে হত্যা করা হয়েছে, রাষ্ট্রের কাছে এই হত্যার বিচার চাই। প্রকৃত খুনিকে তারাই বের করবে। কিন্তু এর আগে কারো নাম বলা দণ্ডনীয় অপরাধ, আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।’
অভিনেত্রী অঞ্জনা ফেসবুকে লেখেন, ‘নায়িকা শিমুকে হত্যা করেছেন তার স্বামী। ইতোমধ্যে তাকে গ্রেফতার করে কেরানীগঞ্জ থানায় রাখা হয়েছে। অযথা শিল্পী সমিতির বিপক্ষে যারা শিমুর বাসায় গিয়ে বিভ্রান্ত মূলক কথাবার্তা বলেছেন তাদের শাস্তি প্রয়োজন। কেননা প্রমাণ ব্যাতিত একজনের বিরুদ্ধে আঙ্গুল উঠানো ১০০% শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
১৮৪ জনের সদস্যপদ কি শুধু জায়েদ খান স্থগিত করেছে? উপদেষ্টা কমিটি এবং সমগ্র কার্যকরী পরিষদ তাতে অবগত ছিল। যা করা হয়েছে শিল্পী সমিতির সংবিধানের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে। এখন যদি কেউ সেটা অস্বীকার করে তাহলে কি বলার থাকবে না। কিন্তু তারা যে সিগনেচার করেছে এটাতো মিথ্যা নয়।’
অভিনেত্রী শাহনুর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাইমা ইসলাম শিমু আমাদের চলচ্চিত্রে বহু ছবির নায়িকা। তাকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে কেরানীগঞ্জ, আলীপুর গ্রামের ব্রীজের পাশে ফেলে রেখেছিলো।(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি আমিন।’
অভিনেত্রী শিমুর মৃত্যু নিয়ে গত রাতে ফেসবুকে একটা ভিডিও বার্তায় চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি সবার সামনে এমন নোংরা কথা বলতে হবে। শিল্পী সমিতি নির্বাচন নিয়ে যে নোংরামি শুরু হয়েছে তার অবসান হওয়া দরকার। শিমু ও তার ভাই দুজনেই শিল্পী সমিতির সদস্য। আমি এই হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
অভিনেত্রী সাবরিনা সুলতানা কেয়া তার ফেসবুকে লেখেছেন ‘দুঃখজনক! আপনার আত্নার শান্তি কামনা করছি আপু!’
১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় রাইমা ইসলাম শিমুর। এরপর একে একে অভিনয় করেছেন ৫০টিরও বেশি সিনেমায়। কাজ করেছেন বহু নাটকে। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।
এমআই/এলএ/জিকেএস