সৌদি আরবে রমরমা সিনেমার ব্যবসা, ১৫৪ হলে আয় ৩৮৪০ কোটি টাকা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৪ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২২

সৌদি আরবের মানুষ সর্বশেষ সিনেমা দেখেছিলেন ১৯৭০ সালে। সে সময় দেশটির কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতাদের চাপে সিনেমা হলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ৩৫ বছরর ধরে সেখানে কোন সিনেমা হল ছিল না। সেই বিরতির পর আবারও সিনেমা হল চালু হয়েছে সৌদি আরবে।

২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিলে মারভেলের সুপারহিরো ‘ব্ল্যাক প্যানথার’ দিয়ে দীর্ঘ তিন দশক পর সিনেমা হলে যায় সৌদির সিনেমাপ্রেমীরা।

তবে সিনেমা হল চালু করতে দেশটির সরকার বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে। যার মধ্যে যৌনতা ও সমকামিতা স্পর্শ করে এমন সিনেমার প্রচারে নিষিদ্ধ। পাশাপাশি সংবেদনশীল ধর্মীয় বা রাজনৈতিক উস্কানি আছে এমন বিষয়ের সিনেমাও দেখানো যাবে না সৌদির সিনেমা হলে।

এসব শর্ত নিয়েই সিনেমার বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠছে সৌদি আরবে। মাত্র চার বছরেই বর্তমানে দেশটিতে ১৫৪টি সিনেমা হল চালু আছে। যেখানে ৫০০ স্ক্রিনে সিনেমা দেখানো হচ্ছে।

নানা গবেষণায় দেখা গেছে, পশ্চিম এশিয়ার সিনেমাগুলোর জন্য শীর্ষ বাজারে পরিণত হতে যাচ্ছে সৌদি আরব।

সৌদি আরবে রমরমা সিনেমার ব্যবসা, ১৫৪ হলে আয় ৩৮৪০ কোটি টাকা

গবেষণা সংস্থা ওমদিয়ার এক তথ্য মতে, ২০২০ সালে সৌদি আরবের সিনেমার বাজার থেকে আয় হয়েছে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক বছরের ব্যবধানে সেই আয় তিন গুণ বেড়ে ২০২১ সালে ঠেকেছে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ তিন হাজার ৮৪০ কোটি টাকারও বেশি।

গবেষণা সংস্থা ওমদিয়া এই তথ্য দিয়ে আরও দাবি করেছে, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সৌদি আরব বিশ্বের দশম বৃহত্তম সিনেমা বাজারে রূপ নেবে।

সৌদি আরব নাগরিকদের বিনোদনের জন্য এ খাতে ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। যার প্রধান ভাবনায় আছে সিনেমা। এছাড়াও সৌদি আরব নাচের দিকেও মনযোগ দিতে চায়। বেশ কিছু নৃত্য উৎসব আয়োজন করে এরইমধ্যে চমকে দিয়েছে দেশটি। সংগীতের প্রসারেও বড় অংকের বিনিয়োগ করেছে সৌদি আরব।

এলএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।