দীর্ঘমেয়াদী তহবিলে আরো তিন ব্যাংক


প্রকাশিত: ০৭:১৭ এএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৬

উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে ৩০ কোটি ডলারের দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন তহবিল ব্যবহারের জন্য ৪র্থ দফায় আরো ৩টি ব্যাংক যুক্ত হলো। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি সই হয়।

চতুর্থ দফায় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো- যমুনা ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। বালাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে ঋণ প্রকল্পটির পরিচালক ও ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আহসান উল্লাহ এবং ব্যাংকগুলোর পক্ষে তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এছাড়া যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল আলম, পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এ হালিম চৌধুরী এবং শাহজালাল ব্যাংকের এমডি ফরমান আর চৌধুরী নিজ নিজ ব্যাংকের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এ নিয়ে এফএসএসপিতে মোট ১৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক চুক্তিবদ্ধ হলো।

বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ‘ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট প্রজেক্ট’ (এফএসএসপি) এর আওতায় একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ তহবিল থেকে চুক্তিবদ্ধ ব্যাংকগুলোকে দীর্ঘমেয়াদে অর্থাৎ ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদী বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ সহায়তা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ তহবিল ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের বৈদেশিক মুদ্রায় দীর্ঘমেয়াদী ঋণ চাহিদা পূরণ করতে পারবে। এতে করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নেওয়া বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ কমে আসবে। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো বাণিজ্যিক ঋণের দীর্ঘমেয়াদী ঋণ পরিশোধের সময় পাবে।

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর প্রথম দফায় ৪টি ব্যাংকের (মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও আল-অরাফাহ ইসলামী ব্যাংক) সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর গতবছরের ১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ৬টি ব্যাংক যথাক্রমে ইস্টার্ন ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয়। তৃতীয় দফা চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো- ডাচ-বাংলা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

BB
 
জানা যায়, তহবিল প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর সুশাসনের দিকেও লক্ষ্য রাখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেবল একটি নির্দিষ্ট মান অর্জনের পরই ব্যাংকগুলো এ তহবিলে অংশগ্রহণ করতে পারবে। সুদের হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলোর ক্যামেলস রেটিং প্রযোজ্য হবে।

ক্যামেলস সূচকের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোকে ৩টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এর প্রথম ক্যাটাগরিতে অর্থাৎ যে ব্যাংকের সার্বিক দক্ষতা ভালো তাদের ক্ষেত্রে সুদ হার হবে যথাক্রমে ৫ বছরের ঋণের জন্য ৩ শতাংশ হারে, ৭ বছরের জন্য ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে এবং ১০ বছরের জন্য ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হারে।
 
একইভাবে দ্বিতীয় ক্যাটাগরির ব্যাংকগুলোকে যথাক্রমে ৫ বছরের ঋণের জন্য ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, ৭ বছরের জন্য ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ১০ বছরের জন্য ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।

তৃতীয় ক্যাটাগরির ব্যাংকের ক্ষেত্রে এই সুদহার হবে যথাক্রমে ৫ বছরের ঋণের জন্য ৩ দশমিক ৫ শতাংশ, ৭ বছরের জন্য ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ১০ বছরের জন্য ৪ শতাংশ হারে প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ ক্যামেলস রেটিং এ এক ধাপ উপরে উঠতে পারলে ব্যাংগুলোর দশমিক ২৫ শতাংশ হারে স্প্রেড কমে যাবে।

এসআই/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।