মোদী লুকে রুদ্রনীল, নেটদুনিয়ায় আলোচনার ঝড়!
ঠিক যেন নরেন্দ্র মোদী! রুদ্রনীলের লুক দেখে এভাবে রসিকতা করেছেন নেটিজেনরা। এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রুদ্রনীল। ভক্তরা যে তাকে মোদী হিসেবে দেখছেন, তা উপভোগ করছেন বলেও জানিয়েছেন এই অভিনেতা।
ভারতের সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, গত মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) প্রকাশ্যে এসেছে ‘স্বস্তিক সংকেত’ সিনেমায় যারা অভিনয় করেছেন তাদের লুক। এই ছবিতে একেবারে ভিন্ন লুকে ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। তা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতো লাগছে- রুদ্রনীলের নতুন লুক দেখে মজার ছলে এমনই মন্তব্য করেছেন অনেকে। তা শুনে অবশ্য মজা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেতা।
রুদ্রনীলের মোদী লুক দেখে একজন লিখেছেন, আমি প্রথমে মোদী ভেবেছিলাম, ভাবলাম মোদীর বায়োপিক হচ্ছে। আরেকজন লেখেন, প্রথমে দেখে তো চমকে উঠেছিলাম। ‘এ যেন নবরূপে নরেন্দ্র!’-এভাবেও প্রতিক্রিয়া জানান একজন। আরও অনেকে এভাবে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
অবশ্য নিজের এই নতুন লুকের কৃতিত্ব ছবির পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল এবং মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডুকেই দিয়েছেন রুদ্রনীল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নতুন এই লুকের তুলনায় খুশি এই অভিনেতা। তার থেকেও বেশি খুশি এই ভেবে যে, মানুষ রুদ্রনীল ঘোষ হিসেবে তাকে দেখছেন না, কোনো একটি বিশেষ চরিত্র হিসেবে দেখছেন। অভিনেতা হিসেবে এটাই খুব বড় প্রাপ্তি বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আবার বছর কুড়ি পরে’ ছবিতেও ভিন্ন লুকে দেখা যাচ্ছে তাকে। কার্লি হেয়ার করা হয়েছে তার। সেটাও খুব মজার বলে জানান তিনি। নিজের এই নিত্যনতুন লুক বেশ উপভোগ করছেন তিনি। ‘স্বস্তিক সংকেত’ ছবিতে রুদ্রনীলের চরিত্রের নাম সুভাষ চট্টোপাধ্যায়। রহস্য সন্ধানে মুখ্য চরিত্র রুদ্রাণীর (নুসরত জাহান) পাশে দেখা যাবে তাকে।
এই চরিত্রের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর কোনো যোগসূত্র আছে কি না জানতে চাইলে হেসে ওঠেন রুদ্রনীল। এরপর বলেন, না এ গল্পে তেমন কিছু নেই। বরং সুভাষ চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রের সঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের কিছু যোগাযোগ থাকতে পারে।
ভবিষ্যতে নরেন্দ্র মোদীর চরিত্রে বা বায়োপিকে অভিনয় করার প্রস্তাব পেলে তা গ্রহণ করবেন? জবাবে বলেন, এর জন্য চেহারাগত, উচ্চতাগত সাদৃশ্য আনতে হয়। ব্যক্তিগতভাবে মানুষটাকে চিনতে হয়।
ইএ/এমএস