পাকিস্তানের কাছে পাওনা ৩.১ বিলিয়ন ডলার
যুদ্ধাপরাধ গণবিচার কমিটির আহ্বায়ক ও নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা ৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার (ক্যাশ টাকা)। এছাড়া কয়েক কোটি টাকার সম্পদও রয়েছে । আমরা তা ফেরত চাই ও ন্যায্য হিস্যা চাই।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তৃতীয় তলায় স্বাধীনতা হলে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার কমিটি আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে নৌমন্ত্রী পাকিস্তান সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ বিরোধী হীনচক্রান্ত ও ইতিহাস বিকৃতির প্রতিবাদে রোববার রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে গণজমায়েত ও বিক্ষোভের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, পাকবাহিনী দ্বারা সংগঠিত গণহত্যা, লুণ্ঠন নারী ধর্ষণসহ নৃশংস অত্যাচারের অপরাধে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ১৯৫ জন পাকিস্তানি কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সকল আইনে এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ঘোষণা অনুযায়ী তারাও ছিলো আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রমাণিত অপরাধী।
শাজাহান খান বলেন, পাকিস্তান সরকার দ্বারা প্রণীত ‘হামিদুর রহমান কমিশনের’ রিপোর্টেও এই জঘন্য অপরাধী সেনাদের নৃশংস অপকর্মের কথা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে বন্দী বিনিময়কালে পাকিস্তান সরকারও তা স্বীকার করে এবং সেই চিহ্নিত ১৯৫ জন অপরাধী সেনা কর্মকর্তাকে বিচার করার নিশ্চয়তা দিয়ে তাদের নিজ দেশে ফেরত নিয়ে যায়। কিন্তু বিগত ৪৫ বছরেও পাকিস্তান তাদের বিচার করেনি।
নৌমন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রচার ও জনমত সংগ্রহ আমাদের লক্ষ্য। পাকিস্তান এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ লালন ও পালন করে। সন্ত্রাসীদের টাকা দিয়ে সাহায্য করে। প্রশাসন থেকে শুরু করে সব জায়গায় তারা এ কাজটি করে থাকে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান ’৭১ সালের পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারেনি। তাই তারা বাংলাশের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে আসছে। এ চক্রান্তের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা উজ্জীবিত। আমাদের সামনে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার কমিটি যুগ্ম-আহ্বায়ক সাংবাদিক আবেদ খান, অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভাইস- চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি শফিকুর রহমান, সাংবাদিক অঞ্জন রায়, গণবিচার কমিটির সদস্য-সচিব কামাল পাশা চৌধুরী, আবৃতিকার রোকেয়া প্রাচী, শ্রমিক নেতা জেড এম কামরুল আনাম প্রমুখ।
এসকেডি/পিআর