জেএসসিতে যশোর বোর্ডে বেড়েছে জিপিএ-৫

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫

এবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ উভয়ই বেড়েছে। এ বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৪ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৮৩১।

গত বছর যশোর বোর্ডে ৯১ দশমিক ৯৬ ভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিল এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০ হাজার ৬৮৫ জন। ২০১৩ এখানে পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ০৩ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৪ হাজার ৭০৪ জন শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক ফলাফলে এ তথ্য জানানো হয়।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, চলতি বছরে দুই লাখ ৯ হাজার ৮৩৮ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে দুই লাখ ২৭৮ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৮৩১ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৪।

আর গত বছর এক লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৪ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিল এক লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৯ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০ হাজার ৬৮৫ জন।

Jessore

এবার জেএসসির ফলাফল সম্পর্কে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, এ বছর জেএসসি পরীক্ষার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি উভয়ই বেড়েছে। পরীক্ষার ফলাফল ভাল করার জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষ কয়েকটি পদক্ষেপও নিয়েছে। তারা বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কারিকুলাম, প্রশ্নের ধারা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন এবং শিক্ষার্থীদের মূল পাঠ্যবইয়ে ফিরে আসার জন্য উদ্বুব্ধ করেছেন।

পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও দুর্বলতার জায়গা চিহ্নিত করে তা দূর করার জন্যও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এসব কারণে যশোর বোর্ডের ফলাফল গত কয়েক বছরের তুলনায় ভাল হয়েছে।

এদিকে বোর্ডের ফলাফলে দেখা গেছে, এবার বোর্ডের ৮২৬টি স্কুল থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৭২০। আর গত বছর তিনটি বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীই অনুত্তীর্ণ হয়েছিল। কিন্তু এ বছর শূন্য ভাগ পাসের হারের কোনো স্কুল নেই।

মিলন রহমান/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।