আমিও মানহানি মামলা করবো: তাহসান

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২১

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে অভিনেতা তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে যে কোনো সময় আসামিদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।

গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক এ মামলা করেন। মামলার আসামি অভিনেতা তাহসান খান বেশ কয়েকটি কনসার্টে অংশ নিতেই বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

হোয়াটসঅ্যাপে তাহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মামলার বিষয়ে তিনি শুনেছেন এবং এ বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গেও তার কথা হয়েছে।’

তাহসান বলেন, ‘প্রচারক কখনো প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক দায়ভার নেবে না। সারাবিশ্বে লাখ লাখ প্রতিষ্ঠানের লাখো ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর রয়েছে। তারা তো ওইসব কোম্পানির সব দায়ভার নিয়ে বসে নেই। কোম্পানির যখন সমস্যা দেখা যাবে তখন তারা সরে আসবে। প্রচারণার দায়িত্বপালনকারী কোনোভাবেই অপরাধী হতে পারে না।’

তাহসান বলেন, “আমি যে বছর জানুয়ারিতে চুক্তিবদ্ধ হই তার আগের বছর জানুয়ারিতে আমাকে অ্যাপ্রোচ করা হয়। আমি যখন ডিনাই করছিলাম তখন তারা আমাকে বললো, ‘আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আছি। আমরা র্যাবের চলচ্চিত্র অপারেশন সুন্দরবনের সঙ্গে আছি। আমরা আইসিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি... তাহলে কেন ডিনাই করছেন?’ আমি শেষ পর্যন্ত চুক্তি করেছিলাম। কিন্তু সেই চুক্তি অনুযায়ী কাজ করিনি। তার আগেই মে মাসে আমি চুক্তি টার্মিনেট করি।”

তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী আমার বিজ্ঞাপন করার কথা ছিল। কিন্তু আমি বিজ্ঞাপন করিনি। এর আগে দুইটা লাইভ করে অনেক কমপ্লেইন পেয়েছি, আমার কাছের মানুষ কমপ্লেইন করেছে। যার ফলে আর অগ্রসর হইনি। চুক্তি বাতিল করেছি।’

মানহানি মামলা করবেন জানিয়ে তাহসান বলেন, ‘গত সাত মাস ধরে মানসিক-আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আর কিছু পত্রিকার চটকদার শিরোনাম দেখে অবাক হয়েছি। মামলা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার রাতে এই তথ্য প্রকাশ হলো কেন? এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না জানি না।’

তিনি বলেন, ‘যে কোনো মুহূর্তে গ্রেফতার বা নজরদারি বলতে কী বোঝায়? হ্যাঁ, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় তাদের তো একটা নজরে রাখতেই হয়। তাই বলে যে কোনো চটকদার মুখরোচক শিরোনাম করে কাটতি বাড়ানোর কোনো অর্থ হয় না। যা হবে আইনগতভাবে হবে। একটা মামলা হয়েছে সেটার তদন্ত চলছে। তদন্ত করে যদি আমাদের দোষ না পাওয়া যায় তাহলে আমাদের তো কোনো সমস্যা হবে না। আর তদন্ত করে পেলে তখন যেটা আইনানুযায়ী হবে, তাই হবে।’

এআরএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।