হয়রানি করতে আমার নামে মামলা করা হয়েছে: শবনম ফারিয়া
ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলা করা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি করে।
এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফারিয়া গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাকে হয়রানি করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে। কেন হয়রানি, কী জন্য হয়রানি সেটা তো আমি জানি না। আর থানা পুলিশ বলেছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে আমার সম্পৃক্ততা আছে কি না। আমি শিউর, উনারা আমার সম্পৃক্ততা পাবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে যে কয়েকটা কারণে অপরাধী দেখানো হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আর আমি এখনো ইভ্যালি থেকে এক টাকাও পাইনি। যে অভিযোগগুলো করেছে সেগুলোর সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। প্রমোশন করলে আমি সেটার জন্য অনেক টাকা নেই। তাদের কাছ থেকে বেতনের টাকা নিয়ে আমি প্রমোশন করব না বলে চাকরি নেওয়ার আগেই জানিয়েছি।’
এ মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সংগীতশিল্পী তাহসান খান, অভিনেত্রী মিথিলা।
মামলার তদন্তের স্বার্থে যে কোনো সময় আসামিদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ধানমন্ডি থানায় ইভ্যালির একজন গ্রাহকের করা মামলায় তারা নজরদারিতে রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে যে কোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে।’
ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘চটকদার বিজ্ঞাপন ও বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে হাজারো গ্রাহককে পথে বসিয়েছে ইভ্যালি- এমন অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার শুরু থেকে সংযুক্ত করা হয়েছিল নামি-দামি তারকাদের। অনেকের অভিযোগ জনপ্রিয় এসব তারকাদের দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা দিয়েই সর্বস্বান্ত হয়েছেন তারা। এবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাদ স্যাম রহমান নামে একজন ভুক্তভোগী। তদন্তের স্বার্থে যে কোনো সময় তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ অন্য আসামিরা গ্রেফতার হতে পারে।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি এবং তাদের বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তার কারণে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান। এসব তারকার কারণে মামলার বাদী প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এমএইচআর/এএসএম