ভোট দিতে পারলেন না মেয়র প্রার্থীরাও


প্রকাশিত: ১২:০৬ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫

জামালপুরে বিভিন্ন কেন্দ্রে সংঘর্ষ, হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পুলিশের রাবার বুলেটসহ লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় জামালপুর পৌরসভায় বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীরাও নিজেদের ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন।  

সকাল ১০টার দিকে জামালপুর সদরের সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজ কেন্দ্রে আ.লীগ ও বিএনপি দলীয় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে আধা ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ, হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপসহ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে।

এছাড়া আজাদ প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ছনকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, বানিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোর করে ব্যালটে সিল মারার ঘটনায় আ. লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তা এই ৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করে রেখেছে।

এর আগে জোর করে সিল মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সিংহজানি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে একঘণ্টা ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল।

এছাড়াও জামালপুর পৌরসভার তিরুথাবটতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইকবালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নাসিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

অন্যদিকে সরিষাবাড়ী পৌরসভায় আ. লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাউসী বাঙ্গালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র স্থায়ীভাবে স্থগিত করেছে রিটার্নিং অফিসার। এছাড়াও মেলান্দহ পৌরসভায় শাহজাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আ.লীগ-বিএনপি মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ফাঁকা গুলি বর্ষণ হয়েছে।

এ সময় ৮ জন আহত হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভায় আ. লীগ ও আ. লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৩ রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জন আহত হয়েছে।   

জামালপুর সদরের বিএনপি মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহ ওয়রেছ আলী মামুন অভিযোগ করেছেন সকাল থেকেই ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯টি কেন্দ্র থেকে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে জোর করে সিল মেরেছে আ.লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন তিনি তার নিজের ভোটও দিতে পারেননি।

জামালপুর সদরের জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী খন্দকার হাফিজুর রহমান বাদশা ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, জামালপুর জিলা স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে তিনি দেখেন তার ভোট আগেই দেয়া হয়ে গেছে।

অপরদিকে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভায় আ.লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী শেখ নুরুন্নবী অপু ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও জামালপুর পৌরসভায় ৭নং ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী তরুণ হাসান কাজল এবং ২নং ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শহিদুল ইসলাম শহিদ নির্বাচন বর্জন করেছেন।

শুভ্র মেহেদী/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।