মালয়েশিয়ায় অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজের দুটি শাখা উদ্বোধন


প্রকাশিত: ০৭:২০ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫

মালয়েশিয়ায় অগ্রণী রেমিটেন্সের দুটি শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার এ দুটি শাখা উদ্বোধন করেন হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম। অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজের ডিজিএম (সিইও) মো. ওয়ালিউল্লাহর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার বলেন, সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে দুর্দম গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। যা এক সময় বিশ্বের বুকে বাংলাদেশিদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, দেশ আজ খাদ্য, বিদুৎ, চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে প্রায় সবক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তথ্য-প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সাফল্য এখন সারা পৃথিবীর কাছে ঈর্ষণীয়। সবমিলিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।

হাইকমিশনার শহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে আরও বলেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। তাদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর ভর করে সাম্প্রতিক সময়ের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

"
অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে হাইকমিশনার দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কিছু না করার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে যতদ্রুত সম্ভব প্রবাসী বাংলাদেশিদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট করার জন্য বলেন হাই কমিশনার।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়াম্যান ড. জাইদ বক্ত, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি মো. ফয়জুল হক, অগ্রণী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আব্দুল আউয়াল খান, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর (শ্রম) ও অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজের পরিচালক মো. সায়েদুল ইসলাম মুকুল, ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম খোকন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজ রাওয়াং শাখার ম্যানেজার সাইনুল ইসলাম, ক্ল্যাং শাখার ম্যানেজার খালেদ মোর্শেদ রিজভী ও মুশফিক আহমেদসহ রেমিটেন্স হাউজের কর্মকর্তা ও প্রবাসীরা।

"
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক হিসেবে ২০০৬ সাল থেকে বিদেশে কষ্টার্জিত প্রবাসীদের অর্থ সহজভাবে দেশে প্রেরণে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করে আসছে অগ্রণী ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ ডিসেম্বর পর্যটন নগরী মালয়েশিয়ার রাওয়াং ও ক্ল্যাং শহরে আরো দুটি শাখা খোলা হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীরা সহজে এবং দ্রুত দেশে টাকা পাঠাতে পারেন তাদের সুবিধার্থে অগ্রণী ব্যাংকের কর্তারা এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ দুটি শাখা নিয়ে মালয়েশিয়ায় মোট ৫টি শাখা রয়েছে।

বিএ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]