আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতি সংরক্ষণের অর্থ যোগাতে বিক্রি হচ্ছে টি-শার্ট

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২১

প্রয়াত কিংবদন্তি ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু। এই তারকার স্মৃতি সংরক্ষণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে তার পরিবার। যা বেশ ব্যয়বহুল। তাই শিল্পীর ব্যবহৃত টি-শার্ট বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছে তার পরিবার।

টি-শার্ট বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতি সংরক্ষণে ব্যয় করা হবে। সম্প্রতি এলআরবির ফেসবুক পেজ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়েছে, ‘রক আইকন আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতি সংরক্ষণে আমরা নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছি। বিষয়টি বেশ জটিল ও ব্যয়বহুলও বটে। প্রথমত আমাদের নিজেদেরই দীর্ঘ সময় লেগেছে এই কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়াতে। শোক আর স্মৃতির কড়িকাঠ পেরুনো সহজ নয়।

কিংবদন্তির দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অবসর মেলেনি কখনও। কখনও এক শহর থেকে আরেক শহর, এক মঞ্চ ছেড়ে আরেক মঞ্চ অথবা কখনো এক দেশের সীমানা ছাড়িয়ে অন্য দেশের সীমানায় ছুটে বেড়িয়েছেন পুরোটা জীবন জুড়ে। আইয়ুব বাচ্চু শেষ দিনলোতে তার ভক্তদের সঙ্গে কাটানো সময়গুলো উপভোগ করতেন।

ভক্তদের আবদার রাখার তাগিদেই শেষ দিকে তার নিজের তত্ত্বাবধানে এবি কিচেনের বেশ কিছু ফ্যান কালেটিবলস টি-শার্ট তৈরি করেছিলেন।

আইয়ুব বাচ্চু তার নিজের হাতেই এই টি-শার্টগুলোর কিছু অংশ শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে তার কাছের বন্ধু ও ভক্তদের উপহার দিয়েছেন। এমনকি কিংবদন্তি ও তার প্রাক্তন ব্যান্ড মেম্বাররাও এই টি শার্টগুলি পরে অনেক কনসার্ট ও স্টুডিও শোতে উপস্থিত হয়েছেন। টি-শার্টগুলো এত বছর ধরে অন্যান্য স্মৃতি স্মারকের সঙ্গে সংরক্ষিত ছিল আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের কাছে। এবি কিচেন সম্প্রতি একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই টি-শার্টগুলো ভক্ত অনুরাগীদের জন্য উন্মুক্ত করতে।’

ওই পোস্টে আরও জানানো হয়, টি-শার্টগুলো ‘বাংলার গঞ্জি টি অব বেঙ্গল’ নামের অফিশিয়াল অনলাইন স্টোরে পাওয়া যাবে। ক্রেতারা চাইলে টি-শার্টগুলো সহজেই ক্রয় করতে পারবেন।

ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। গিটারের জাদুকর হিসেবে আলাদা সুনাম ছিল তার। ২০১৮ সালের ১৮ই অক্টোবর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই ব্যান্ড লিজেন্ড।

এমআই/এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।