হল খোলা রাখতে রাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন


প্রকাশিত: ০৭:০৭ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫

শীতকালীন অবকাশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলসমূহ খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার বেলা ১১টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে তারা অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে। এ সময় তারা প্রশাসন ভবন ঘেরাও করে রাখে। এর আগে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে। সবার মুখে একই স্লোগান, ‘মানি না, মানবো না। হল খোলা রাখতে হবে।’

RU

এ সময় দেখা যায় প্রশাসন ভবনের মূল গেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। প্রশাসন ভবনের ভিতরে বা বাইরে কাউকে প্রবেশ বা বের হতে দেয়া হচ্ছে না। এদিকে, ভবনের অন্য গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা তাদের ভর্তি কার্যক্রম চালাতে গেলেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেয়।

আন্দোলনরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, এই অল্প কয়েকদিনের জন্য হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত একেবারে অযৌক্তিক। বিসিএসসহ বিভিন্ন বিভাগের অ্যাকাডেমিক পরীক্ষার সময় এ রকম সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত তুলে নিয়ে অবকাশে হল খোলা রাখার জোরালো দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

RU

উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ মিজানউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা যে দাবি করছে তা আসলে যৌক্তিক না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে আসন্ন বিসিএস পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষার বিষয় বিবেচনা করে তার একদিন আগেই হল খুলে দেয়া হবে।
 
প্রসঙ্গত, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সভায় শীতকালীন অবকাশ উপলক্ষে আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত হল বন্ধ রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে হল বন্ধের এ সিদ্ধান্তে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী, প্রগতিশীল ও সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরা।

রাশেদ রিন্টু/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।