বাস্তবে ‘স্কুইড গেম’ আয়োজন করছে আমিরাত

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৮ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২১
ছবি: সংগৃহীত

 

নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে এক মাসও হয়নি, এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে ঝড় তুলেছে কোরিয়ান ড্রামা স্কুইড গেম। গল্পটা খুবই সহজ। ছোটবেলায় শিশুরা যেসব খেলা খেলে, তেমনই কয়েকটি খেলায় অংশ নেবে প্রাপ্তবয়স্ক ৪৫৬ জন খেলোয়াড়। শেষপর্যন্ত যে টিকে থাকবে, সে হবে চ্যাম্পিয়ন। আর তার জন্য পুরস্কার হিসেবে থাকবে ৪ হাজার ৫৬০ কোটি ওন বা ৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। তবে সমস্যা একটাই- খেলায় যে হেরে যাবে বা শর্ত লঙ্ঘন করবে, তার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। অর্থাৎ হেরেছো তো মরেছো।

এমন আকর্ষণীয় গল্পের পাশাপাশি জীবনঘনিষ্ঠ চিত্রনাট্য মন জয় করে নিয়েছে সিরিজ লাভারদের। বর্তমানে বিশ্বের ৯০টি দেশে নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় শেঅ স্কুইড গেম। সিরিজের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় এবার বাস্তবে স্কুইড গেম আয়োজন করতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে আশার কথা, এতে প্রাণঘাতী কোনো শাস্তি থাকছে না। খেলার বাকি নিয়মগুলো একই।

jagonews24

আমিরাতি দৈনিক দ্য ন্যাশনালের খবর অনুসারে, আগামী মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) আবুধাবিতে বাস্তবে স্কুইড গেমের আয়োজন করেছে কোরিয়ান কালচারাল সেন্টার (কেসিসি)। এতে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন তিন শতাধিক মানুষ। তাদের মধ্যে বাছাই করা ১৫ জনের দুটি দল, অর্থাৎ মোট ৩০ জন খেলায় অংশ নেবেন।

সিরিজের সঙ্গে মিল রেখে খেলায় অংশগ্রহণকারীরা ইউনিফর্ম পরবেন। আর গেম সংশ্লিষ্ট কর্মচারী-কর্মকর্তারা গোল, ত্রিভূজ ও বর্গাকৃতির চিহ্নযুক্ত লাল পোশাক পরবেন।

jagonews24

কেসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নাটকীয়তা বাড়ানোর জন্য সিরিজের খেলাগুলো কিছুটা নৃশংস দেখানো হয়েছে। তবে এর সব খেলা আজও কোরীয় শিশুদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। কেসিসি চায়, আমিরাতের লোকেরা খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোরীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও বেশি জানুক।

আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য স্কুইড গেমে অংশগ্রহণকারীদের গ্রিন লাইট রেড লাইট, গ্লাস স্টেপিং (কাঁচের ওপর পাথর ছুড়ে এগোনো), মার্বেল, হানিকম্ব ও তাকজি (ভাজ করা কাগজ) খেলায় অংশ নিতে হবে। খেলা হবে মোট পাঁচ রাউন্ডে। গ্রিন লাইট রেড লাইট খেলায় আসল বন্দুকের পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে খেলনা স্পঞ্জগান।

কেএএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।