বিজিবির অর্থায়নে বীর প্রতীকের বাড়ি
বিজয়ের ৪৫ বর্ষে এসে বাড়ি পেলেন মুক্তিযুদ্ধে বোমার আঘাতে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক প্রাপ্ত আহমেদ আলীর স্ত্রী মতিয়া খাঁনম।
আর বাড়িটি নিজস্ব অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় নির্মাণ করে দিলেন ঠাকুরগাঁও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি-৩০) সদস্যরা।
সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও ফকিরপাড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়ির চাবি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করেন বিজিবি উত্তর পশ্চিম রিজিওনের ভারপ্রাপ্ত রিজিওন কমান্ডার কর্নেল লুৎফুল কবীর ভূঁইয়া।
বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল তুষার বিন ইউনুস, ৩০ বিজিবির ইন্ট অফিসার মেজর তৌহিদ ও প্রেসক্লাব সভাপতি আবু তোরাব মানিক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জীতেন্দ্র নাথ রায়, ডেপুটি কমান্ডার বদরুজ্জোহা প্রমুখ।
বিজিবি, বীর প্রতীকের পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিত্তিক তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালে ৬ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক তার উইং কমান্ডর এম কে বাশারের নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
পঞ্চগড়ের মীরগড়, তাললমা ব্রিজ, অমরখানা, বোদা, দেবীগঞ্জ, ময়দানদীঘি, ভজনপুর, দেবনগর, জগদল, দারিকাপুর, পঞ্চগড় মোড়, মাঝিপাড়া, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, খোঁচাবাড়ী, সালন্দর, শিবগঞ্জ, ওয়াপদা, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ, চৌধুরী হাট, কবিরাজহাট, দশমাইল, পঁচিশমাইল প্রভৃতি স্থানে সম্মুখ যুদ্ধ, চোরাগোপ্তা হামলা ও গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। পঞ্চগড়ের নুনিয়াপাড়া গ্রামে সম্মুখ যুদ্ধে বোমার আঘাতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান মৃত্যুবরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি `বীর প্রতীক` উপাধিতে ভূষিত হন।
রবিউল এহসান রিপন/এমজেড/এমএস