টাকার জন্য খেলেন না গেইল!
টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা বলা হয় তাকে। আবার ক্রিস গেইলের বিরুদ্ধে বদনাম রয়েছে, টাকা ছাড়া তিনি কথাই বলেন না। টাকার জন্যই তিনি খেলেন। যেখানে বেশি টাকা পাবেন, সেখানেই নাম লেখাবেন। কোন লিগে, কোন দলের হয়ে খেলতে হলে গেইলকে দিতে হবে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। এই যেমন সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশের বিপিএলের কথাই ধরুন, বরিশাল বুলসের কাছ থেকে ম্যাচ প্রতিই তিনি নিয়েছিলেন ২৮ লাখ টাকা করে। অথচ, বাংলাদেশী সাকিব-মাশরাফিরা পুরো টুর্নামেন্ট খেলে পেয়েছেন ২৮ লাখ টাকা করে।
‘টাকা’ বিষয়ক অভিযোগ ক্রিস গেইলের বিরুদ্ধে অনেক দিনের৷ অবশেষে এই নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। সমালোচকদের একহাত নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে একটি কলামে ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব লিখেছেন, ‘অনেকের মুখেই অনেক কথা শুনি৷ আমি নাকি টাকার জন্য সবকিছু করি৷ এটা মোটেই ঠিক নয়৷ টাকার কথা ভেবে আমি সব কাজ করি না৷ হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, আমি বিভিন্ন দলে খেলার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা পাই৷ এই পারিমান টাকা পাওয়ার যোগ্যও আমি; কিন্তু শুধুমাত্র টাকার জন্য আমি খেলি না। এমন অভিযোগ মিথ্যা।’
টাকার জন্য যে তিনি খেলেন না, সেটা আবারও জোর দিয়ে বললেন গেইল। তিনি বলেন, ‘শুধু টাকার কথা ভেবেই যদি সবকিছু করতাম, তাহলে ২০১১ সালে জিম্বাবোয়েতে কখনওই খেলতে যেতাম না৷’ টি টোয়েন্টি আপনার প্রিয়৷ এই ফরম্যাটের ক্রিকেটের চাপ সামলান কেমন করে? গেইল জানালেন, ‘সমালোচনা বা চাপ আমাকে সেভাবে নাড়া দেয় না৷ এতদিন ধরে ক্রিকেট খেলছি৷ কীভাবে চাপ সামলাতে হয় জানি৷ তরুণ ক্রিকেটারদের পক্ষে চাপ সামলানোটা একটু কঠিন৷ অনেক তরুণ ক্রিকেটারই হয়ত জানে না, কীভাবে চাপ কাটিয়ে ভাল ক্রিকেট খেলতে হয়৷’
দু’দিন আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট কর্তাদের সমালোচনায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন ডোয়াইন ব্রাভো৷ এদিন ব্রাভোর প্রশংসা শোনা গিয়েছে গেইলের গলায়৷ বলেন, ‘২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি গায়ে প্রথম ব্রাভোর সঙ্গে খেলি৷ ও দারুণ অলরাউন্ডার৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চ ছাড়া বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ওর বিরুদ্ধেই খেলেছি৷’
আএইচএস/এমএস