রংপুর অঞ্চলে সক্রিয় হয়ে উঠছে জেএমবি : ডিআইজি
রংপুরে জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও হত্যাকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া রংপুর ও দিনাজপুরের সকল কর্মকাণ্ডে জেএমবি জড়িত ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবীর।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় তার কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ডিআইজি বলেন, বিদেশিদের হত্যা করে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যহত করা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতেই রংপুর অঞ্চলে জেএমবি সক্রিয় হয়ে উঠছে। তবে তারা এটাতে সফল হতে পারবে না। ইতোমধ্যে রংপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জেএমবির ১৮ জন সদস্যকে গ্রেফতার করার পাশাপশি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেএমবির রংপুর অঞ্চলের কমাণ্ডার মাসুদ রানা ও তার অন্যতম সহযোগী ইসাহাক আলী আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গুরুতপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলেও জানান ডিআইজি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিআইজি বলেন, মাসুদ রানার ঘনিষ্ট বন্ধু ইসাহাক এক সময়ে ইরাকে ছিলেন। সেখানে তিনি কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকতে পারেন। মূলত ইসাহাক ছিলেন অস্ত্রের জিম্মাদার। যে কোনো অপারেশন শেষ করে ইসাহাকের কাছেই অস্ত্র জমা রাখা হতো।
তিনি বলেন, ইসাহাকের বড় ভাই ইনসান জেএমবির একজন শীর্ষ স্থানীয় নেতা ছিলেন । ২০০৬ সালে মাসুদ রানা প্রথম ইনসানের কাছেই দীক্ষা নিয়েছিলেন। ইনসান পরবর্তীতে লিবিয়ায় গিয়ে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তবে কীভাবে ইনসান মারা গেছেন তা নিশ্চিত হতে পারেননি ডিআইজি।
ইসাহাকের ইরাক ও ইনসানের লিবিয়া যাওয়ার বিষয়ে আইএস বা পাকিস্তানের সঙ্গে জেএমবির সংশ্লিষ্টতা আছে কি না? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিআইজি বলেন, যারা এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে তারা সকলেই স্থানীয় এবং স্থানীয়ভাবেই এসব কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এদের কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এর আগে বিএনপি নেতাসহ অন্যদের গ্রেফতারের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, এ পর্যন্ত যারা ধরা পড়েছেন এবং যেসব তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে রয়েছে সংগ্রহিত হয়েছে তাতে এটা প্রতিয়মান যে, এসব কর্মকাণ্ডে জেএমবি সক্রিয়ভাবে জড়িত। তবে গ্রেফতারকৃতরা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত কী, না তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না। জেএমবির এসব কর্মকাণ্ডে কারা মদদ দিচ্ছেন তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জিতু কবীর/এমএএস/পিআর