পরীমনির বাসায় ছিল মিনি বার : র্যাব
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, ০৫ আগস্ট ২০২১
‘ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। তার বাসায় একটি মিনি বারও রয়েছে। তিনি বাসায় নিয়মিত মদের পার্টি করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ পরীমনির বাসায় এসব মাদক সাপ্লাই (সরবরাহ) করতেন।’
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে পরীমনি ও রাজসহ চারজনকে গ্রেফতারের পর র্যাব সদরদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
পরীমনির বাসায় মিনি বার সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, কোনো বাসায় মিনি বার থাকবে তা আইনসিদ্ধ নয়। পরীমনি অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক সেবন করতেন।
পাশাপাশি রাজের বক্তব্য জানা গেছে, পরীমনির এই বাসায় মিনি বারে তারা প্রায়ই ডিজে পার্টিসহ বিভিন্ন পার্টি করত। এই বারে বিভিন্ন লোকজন উপস্থিত থাকত।
এর আগে দুপুরে খন্দকার আল মঈন জাগো নিউজকে জানান, পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকের মামলা ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিরুদ্ধে মাদক এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হচ্ছে।
গতকাল (বুধবার) বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানে যায় র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। তাদের দেখে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ শুরু করেন পরীমনি। তিনি সেখানে অভিযোগ করেন, তার বাসায় ‘বিভিন্ন পোশাকে’ লোকজন এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে বলছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র্যাব।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। পরীমনিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যে র্যাব ওই অভিযানে যায় বলে জানায়।
প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে বনানীর বাসা থেকে আটক করে রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা। রাজের বাসা থেকেও মাদক এবং পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব।
পরীমনি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে ঢাকার সাভারের বোটক্লাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। ওই ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছিলেন, তারা আবার জামিনও পেয়েছেন। এর মধ্যেই আবার একাধিক ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।
টিটি/জেএইচ/জেআইএম