ইসকন মন্দিরে বোমা হামলার ঘটনায় আরেক ছাত্র আটক
দিনাজপুরের কাহারোলে জয়নন্দ নিলাহার কৃষ্ণ ভাবনা মৃত সংঘ (ইস্কন) মন্দিরে বোমা হামলার ১২ ঘণ্টা পর পার্শ্ববর্তী বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে এস এম জি ও ২৮ রাউন্ড গুলিসহ আরও এক পলিটেকনিক্যালের ছাত্রকে আটক করেছে এলাকাবাসী। এসময় আটক ছাত্রের ছোড়া গুলিতে একজন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আটক যুবকের নাম মোসাদ্দের হোসেন (২২)। তিনি লালমনিরহাট জেলা সদর উপজেলার বানভাসা গ্রামের তহশিলদার মানিক খন্দকারের ছেলে। তিনি রংপুর বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল কলেজ আর সি আই টির প্রথম বর্ষের ছাত্র।
গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম আব্দুর রফিক (৪০)। তিনি বীরগঞ্জ উপজেলার ৮নং ভোগ নগর ইউনিয়নের সিংড়া গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, ভোরে বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া গ্রামে এসে মোসাদ্দের হোসেন ওই এলাকার জনৈক সিরাজের বাসায় এসে আশ্রয় চান। বাড়িতে আশ্রয় দেয়ার পর সিরাজের সন্দেহ হলে তিনি গ্রামবাসীকে বিষয়টি জানান। গ্রামবাসী এসময় তাকে আটক করার চেষ্টা করলে তিনি তার কাছে থাকা অস্ত্র দিয়ে গ্রামবাসীকে ভয় দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী সিংড়া ফরেস্টে পালিয়ে যান। এলাকার জনগণ তাকে বনের ভেতরে ঘেরাও করে রাখেন। সকাল আটটার দিকে অবস্থা বেগতিক দেখে মোসাদ্দের হোসেন এক রাউন্ড গুলি চালান। এতে আব্দুর রফিক গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এস এম জি এবং ২৮ রাউন্ড গুলিসহ মোসাদ্দের হোসেনকে আটক করে নিয়ে আসে।
বীরগঞ্জ থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা ফখখরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, মোসাদ্দের হোসেনকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করে র্যাবের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। গুলিবিদ্ধ আব্দুর রফিককে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মোসাদ্দের হোসেন কাহারোলে জয়নন্দ নিলাহার কৃষ্ণ ভাবনা মৃত সংঘ (ইস্কন) মন্দিরে বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত।
এদিকে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) সিদ্দিকুর রহমান জানান, মোসাদ্দের হোসেনের বাবা মানিক খন্দকার পেশায় একজন তহশিলদার। তিনি গত চার মাস আগে ছেলে অপহরণ হয়েছে অভিযোগ এনে লালমানরহাট সদর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় দু`জন আসামি এখনো জেলে রয়েছেন।
এমদাদুল হক মিলন/এমজেড/পিআর