খুনের মামলায় সালমানের ভাগ্য নির্ধারণ আজ


প্রকাশিত: ০৬:২৬ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার নির্ধারিত হবে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের ভাগ্য। তার বিরুদ্ধে হিট অ্যান্ড রান মামলার অপরাধ প্রমাণীত হয়েছে চলতি বছরের মে মাসেই।

তারই চূড়ান্ত রায় আজ দিতে যাচ্ছে বম্বে হাইকোর্ট। আগামিদিনে তার ঠিকানা জেল না জেলের বাইরে হবে তা চূড়ান্ত হবে হাইকোর্টের এই রায়ের পরেই।

তবে সালমান ভ্ক্ত ও তার পরিবারের জন্য আশার কথা হলো, বুধবার এই মামলার শুনানিতে আদালত জানায়, দুর্ঘটনার সময় সালমানই গাড়ি চালাচ্ছিলেন তার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর ফলে এই নায়কের বিরুদ্ধে আনা হত্যা মামলার অভিযোগ অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন তার আইনজীবীরা।

বলিউড স্টারের দেহরক্ষী এবং মুম্বাই পুলিশের কনস্টেবল রবীন্দ্র পাটিল এই মামলায় সরকার পক্ষের প্রধান সাক্ষী ছিলেন। তিনিই একমাত্র সাক্ষী যিনি দাবি করেছিলেন, ঘটনার সময় সালমান মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
 
কিন্তু হাইকোর্টের দাবি পাটিলের দেয়া বয়ানের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ মিলেনি। এমনকি পাটিলের বয়ান গ্রহণ করে নিম্ন আদালত ভুল করেছে বলেও মত হাইকোর্টের। কারণ দুহাজার সাত সালেই মৃত্যু হয়েছে রবীন্দ্র পাটিলের। ফলে সালমান আদৌ মদ্যপ ছিল কিনা এখন তার যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ নেই পুলিশের হাতে। অন্যদিকে গাড়ির টায়ার ফাটার ফলেই দুর্ঘটনা নাকি  দুর্ঘটনার জেরেই ফেটে যায় টায়ার তাও খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এসব বিবেচনা করেই ধারনা করা হচ্ছে শাস্তি লঘু হতে পারে সল্লু মিয়ার।

প্রসঙ্গত, সালমান খানের বিরুদ্ধে আনীত হিট এন্ড রান মামলা নিয়ে গত ১৩ বছর ধরে উত্থানপতন কম হয়নি। ২০০২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা শহরতলি এলাকায় এক ঘুমন্ত পথচারীকে খুন ও আরও চারজনকে জখম করার অভিযোগ ওঠে সালমান খানের বিরুদ্ধে।

এর পর ২০০৬ সালে বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এই মোকদ্দমা শুরু হয়। সালমানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪-এ (অসতর্কভাবে গাড়ি চালানো), ২৭৯ (এলোপাথাড়ি ড্রাইভিং), ৩৩৭ (আঘাত করা), ৩৩৮ (গুরুতর আঘাত করা), ৪২৭ (অসাবধানতাজনিত অপরাধ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়।

এই মামলা এখন উচ্চ আদালতে গেছে। তারই শুনানিতে সালমান খান এপ্রিল মাসের শুরুতেই আদালতে উপস্থিত হয়ে জানান যে, সেদিন তিনি মদ্যপ ছিলেন না।

বেশ কিছু প্রত্যক্ষদর্শী তাদের সাক্ষ্যে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাটি ঘটার পর সালমান চালকের দিকের দরজা দিয়ে বের হন। আবার এ মামলারই শুনানির একেবারে শেষদিকে দীর্ঘকাল নিরুদ্দেশ থাকার পর সালমান খানের গাড়ির চালক হঠাৎ আদালতে উদয় হয়ে বলেন, ঘটনার দিন গাড়ি মালিক চালাচ্ছিলেন না, চালাচ্ছিলেন তিনি নিজে! এসব কারণে জটিলতা কেবল বেড়েছেই সালমানের মামলাটির।

অবশেষে চলতি বছরের ৬ মে, বুধবার সকালে ১৩ বছর ধরে চলতে থাকা মামলার চূড়ান্ত রায়ে দণ্ডনীয় নরহত্যার দায়ে সালমানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। সঙ্গে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় ২৫ হাজার টাকার জরিমানা। পরে মুম্বাই আদালতে দুই দিনের অন্তর্বতী জামিন পেয়ে যান সালমান।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ আবারো আদালতে আসছেন সালমান। সবাই উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা আছেন বিগ বসের ভাগ্যে কী আছে তা জানার জন্য।

এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।