৯ দাবিতে রাবির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে তালা


প্রকাশিত: ১২:২২ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা (সেশন ২০০৮-০৯) নয় দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য বিভাগের অফিস-ক্লাস রুমে তালাবদ্ধ করে রেখেছে। পরে সেই তালা ভেঙে আবার অফিস-ক্লাসে প্রবেশ করেন শিক্ষকরা। মঙ্গলবার তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনে জেনেটিক বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।

প্রতিটি শিক্ষাবর্ষের আট মাসের মধ্যে ক্লাস শেষ এবং পরের চার মাসের মধ্যে ফলাফল দিতে হবে। প্রতিটি শিক্ষা বর্ষের রুটিন থাকতে হবে, রুটিন অনুযায়ী ক্লাস করাতে হবে, ক্লাস টাইমে শিক্ষকদের মিটিং করা যাবে না, এক ক্লাসে একের অধিক উপস্থিতি দেয়া যাবে না, M.Sc এর ক্ষেত্রে ৪০% উপস্থিতিতে পরীক্ষা দেবার উপযুক্ত বলে গণ্য করাসহ মোট ৯টি দাবি করেন মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের ৯ দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনো লিখিত দাবি বাস্তবায়ন মেনে না নেয় ততক্ষণ আমরা ক্লাস বর্জনসহ আরো কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। এছাড়াও আগামী বৃহস্পতিবার উপাচার্য বরাবর আমরা স্মারকলিপি দেব।

এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষকদের গাফিলতি ও রুম সঙ্কটের কারণে আমরা ভয়াবহ সেশনজটের মধ্যে পড়েছি। বছর শেষে প্রতিটি বিভগের পরীক্ষা না নেয়ার ফলে ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি বিভাগের রুটিন মাফিক ক্লাস না নিয়ে অধিকাংশ সময়ই বাইরে ব্যয় করেন শিক্ষকরা।

তবে শিক্ষকরা বলেন, দেশের রাজনৈতিক অরজাকতার কারণে আমাদের বিভাগ কিছুটা সেশন জটের কবলে পড়েছে। এটা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমরা দ্রুত চেষ্টা করছি। এদিকে শিক্ষকদের অভিযোগ এম এসসিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র দু`জন শিক্ষার্থী পরাগ ও মনসুর তারা যথাক্রমে ৩৫% ও ৪৫% পায় সে কারণে তারা মূলত এ আন্দোলন করছে।

বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. আশাদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বিভাগের সভাপতি বাহিরে থাকায় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে তিনি বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অনেকাংশে মেনে নিয়েছি। তবে পরবর্তী মিটিংয়ে বিষয়টি আলোচনা করবে বলে জানান তিনি।

রাশেদ রিন্টু/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।