এইডস বিস্তার রোধে কুসংস্কার পরিহারে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : রাষ্ট্রপতি


প্রকাশিত: ০১:১৪ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এইডস রোগের বিস্তার রোধে শিক্ষা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ সামাজিক কুসংস্কার পরিহারে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। বিশ্ব এইডস দিবস (মঙ্গলবার) উপলক্ষে সোমবার দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এইডস প্রতিরোধের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সঠিক বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি যাতে সামাজিক অবহেলা বা বৈষম্যের শিকার না হন তা আমাদের মানবিক ঔদার্য দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে।’

বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য হল ‘এইচআইভি সংক্রমণ ও এইডস মৃত্যু : নয় একটিও আর, বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়বো সবাই, এই আমাদের অঙ্গীকার’।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এইডসের স্বাস্থ্যগত দিকের পাশাপাশি মানবিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ রোগ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দাতাসংস্থা ও গণমাধ্যম সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

আবদুল হামিদ বলেন, এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায় ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব এইডস দিবস পালন করে আসছে। ইউএন-এইডস এর তথ্যমতে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মানুষ এইডস-এ আক্রান্ত এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এ মরণঘাতি রোগে মৃত্যুবরণ করেছে। বিশ্বে এইডস বিষয়ে আজ জনসচেতনতা বেড়েছে; গবেষণার পাশাপাশি চিকিৎসা পদ্ধতিরও অগ্রগতি হয়েছে। তা সত্বেও এ রোগের ভয়াবহতা এখনো কমেনি।

রাষ্ট্রপতি এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব এইডস দিবস পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ‘বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৫’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

এএসএস/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।