ইইউ’র সঙ্গে যৌথ বিজনেস কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে যৌথ বিজনেস কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিজনেস কাউন্সিলে ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের ২৫ জন এবং বাংলাদেশের এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, ডিসিসিআই, চট্রগ্রাম চেম্বার, বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ-এর ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সদস্য থাকবেন। এ কাউন্সিলের প্রথম সভা হবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে।
সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরি মেয়োদন এর সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, কাউন্সিলের উদ্দেশ্য হলো-ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বাণিজ্য ক্ষেত্রে টেরিফ,নন-টেরিফ বেরিয়ার দূরীকরণ, বিনিয়োগের সমস্যা চিহ্যিত ও সমাধান করা। এ কাউন্সিল ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেবে।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশিদার। অস্ত্র ছাড়া সকল বাংলাদেশি পণ্য রফতানি এবং জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন। গত বছর বাংলাদেশ ইউরোপিয়ন ইউনিয়নে ১৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। ইউরোর অবমূল্যায়ন না হলে এ রফতানির পরিমাণ ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতো। একক দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি বাজার।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কাজে প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে। ফ্রান্সের সহায়তায় এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ চলছে।
ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের বড় ব্যবসায়িক অংশিদার। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেশ ভালো। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন। বাংলাদেশের সাথে ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য যৌথ বিজনেস কাউন্সিল কাজ করবে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এবং অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মনোজ কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।
এসএ/এসকেডি/আরআইপি