সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে নেপাল : প্রধানমন্ত্রী
নেপালের নতুন সরকারের শুভ কামনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সদ্য দায়িত্ব গ্রহণকারী সরকার দেশটির জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও জাতিকে অধিক সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে নেপাল। নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক ভূমিকম্প ও অবরোধের ফলে নেপালের জনগণের দুুর্ভোগ লাঘবে বাংলাদেশ সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
নেপালের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত হরিকুমার সেরেস্তা রোববার প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাঁর তেজগাঁও কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, গত এপ্রিলের ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং দেশের সম্পূর্ণ পুনর্গঠনে নেপাল সক্ষম হবে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
নেপালের চলমান বিক্ষোভ ও অবরোধের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা সুখের যে, বাংলাদেশের মতো রক্তাক্ত আন্দোলনের চেয়ে হিমালয়ের দেশটি সম্পূর্ণ শান্ত এক বিক্ষোভ প্রত্যক্ষ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সঙ্গে যেকোনো আঞ্চলিক ইস্যুতে আলোচনায় তিনি নেপাল ও ভুটানের গুরুত্বের বিষয় তুলে ধরেন।
সৈয়দপুর বিমান বন্দর এবং চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে নেপালে পণ্য পরিবহনে তাঁর দেয়া প্রস্তাবের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৈয়দপুর বিমান বন্দর একটি আঞ্চলিক বিশেষ করে নেপালের পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরও ভারতের আসাম রাজ্য ব্যবহার করতে পারে। সার্ক দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই অঞ্চলে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে উচ্চ পর্যায়ের আরো সফর বিনিময় গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেপালের সমর্থনের কথা স্মরণ করেন। বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নেপালের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা সম্বলিত পত্র তাঁর হাতে তুলে দেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন।
হরি কুমার সেরেস্তা নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশের সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নেপাল এই সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে চায়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছেন এবং এ দেশের মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এসএইচএস/আরআইপি