কিশোর হত্যার দায়ে চাচাতো ভাইয়ের যাবজ্জীবন
সিলেটের বিয়ানীবাজারে কিশোর তারেক আহমদকে হত্যার দায়ে তার চাচাতো ভাই লিয়াকত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা ও দায়রা জজ মো. মনির আহমদ পাঠোয়ারী চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত লিয়াকত আলী বিয়ানীবাজার উপজেলার জালালনগর গ্রামের আরব আলীর ছেলে। নিহত তারেক লিয়াকতের চাচা মানিক মিয়ার ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি শামসুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারেককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে লিয়াকত আলী। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তারেককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তারেকের মা আসমা বেগম বাদী হয়ে লিয়াকত আলী, তার মা তাহেরা বেগম ও আত্মীয় সোয়ারা বেগমকে আসামি করে বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিয়ানীবাজার থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলওয়ার হোসেন মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৪ মার্চ লিয়াকত আলীকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুপুরে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জেলা দায়রা জজ মনির আহদ পাঠোয়ারী লিয়াকতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি শামসুল ইসলাম ও আসামিপক্ষে অ্যাড. রেজাউল করিম, অ্যাড. আবদুল খালিক ও অ্যাড. সুরুজ আলী।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/পিআর