যেখানে কলকাতার চেয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশের তারকারা

লিমন আহমেদ
লিমন আহমেদ লিমন আহমেদ , বিনোদন প্রধান
প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২১

ঢাকাই সিনেমার মন্দা সময়ে প্রভাব ফেলছে কলকাতার সিনেমা। ওপারের তারকারা ঢাকার বাজারে এসে রাজত্ব করতে চাইছেন। কিন্তু পারছেন না। অনেক প্রযোজকও এখানে ব্যবসা করতে এসে বাধ্য হয়েছেন তা গুটিয়ে বাড়ির ছেলে বাড়ি ফিরে যেতে।

দুই বাংলার মধ্যে চলচ্চিত্রের শিল্পী ও মেধার আদান-প্রদান অবশ্য বহু পুরোনো। হিসাব কষে দেখা গেছে, এই দেয়া-নেয়ার খাতায় সাফল্যের পাল্লায় অনেক ভারী বাংলাদেশের নাম। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকেই টালিগঞ্জের সিনেমায় রাজত্ব করেছেন ঢাকাই সিনেমার নির্মাতা, শিল্পীরা। এপারের মেধাসমৃদ্ধ করেছে ওপারের সিনেমাকে।

দুই বাংলার শিল্পী ও মেধার আদান প্রদানে বরাবরই কলকাতায় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। আজকের কলকাতায় চলচ্চিত্রশিল্প এখন অনেক আপডেট। তাদের গল্প, নির্মাণশৈলী, টেকনোলজি- সবখানেই এসেছে ডিজিটালের সফল ছোঁয়া।

কিন্তু আশির দশকের মাঝামাঝিতে উত্তম কুমারের মৃত্যুর পর বিরাট একটি শূন্যতার মধ্যে পড়ে যায় টালিগঞ্জের সিনেমা। একের পর এক ছবি মুনাফা হারানোর ফলে কমে এসেছিল প্রযোজক, কমেছিল পরিচালকের সংখ্যাও। সিনেমা প্রযোজনার অনেক নামি প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা গুটিয়ে অন্য ব্যবসায় নাম লিখিয়েছিল। শিল্পীরাও বেকার হয়ে পড়েছিলেন। সেই মন্দা অবস্থা কাটিয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে আবারও ঘুরে দাঁড় করিয়েছিলেন কিছু মানুষ। তাদের মধ্যে উজ্জ্বল কিছু নাম বাংলাদেশের।

অন্যতম একজন হলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা স্বপন সাহা। তিন ক্যাপ্টেনের কাঁধে ভর করে তখন এগিয়েছিল কলকাতার সিনেমার জাহাজ। তারা হলেন স্বপন সাহা, অঞ্জন চৌধুরী ও প্রভাত রায়। এ ত্রয়ীর মধ্যে ব্যতিক্রম নির্মাণ দিয়ে এগিয়ে ছিলেন স্বপন সাহা।

তিনিই গড়ে তুলেছিলেন প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণার জুটি। ‘অবুঝ মন’, ‘ভাই আমার ভাই’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘সুজন সখী’, ‘আদরের বোন’, ‘মায়ের বাঁধন’, ‘নয়নের আলো’, ‘চৌধুরী পরিবার’, ‘সবুজ সাথী’, ‘ফাটাকেষ্ট’, ‘জোর’ ইত্যাদি সুপারহিট ছবি দিয়ে তিনি কলকাতার সিনেমা শিল্পকে চাঙ্গা করে তুলেছিলেন। আজকের সফল ইন্ডাস্ট্রির ভিত্তি মজবুত করে দিয়েছেন। ওপার বাংলার চলচ্চিত্রে ‘লক্ষ্মী নারায়ণ’ বলে খ্যাত এ নির্মাতা মূলত বাংলাদেশ থেকেই সেখানে পাড়ি জমিয়েছিলেন।

অঞ্জন চৌধুরীর হাতেখড়ি হয়েছিল বাংলাদেশি সিনেমাতেই। এখানেও তিনি বেশ কিছু সুপারহিট ছবি নির্মাণ করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘অবিশ্বাস’, ‘ভাইভাই’ ইত্যাদি। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় তিনি কলকাতায় চলে যান এবং সেখানে সিনেমা নির্মাণে মনোনিবেশ করেন।

আর উপহার দিতে থাকেন একের পর এক হিট ছবি। টানা সিনেমা বানিয়েছেন ২০১৩ সাল পর্যন্ত। স্বপন সাহাকে অনেকে রিমেকের মাস্টারও বলে থাকেন। বাংলাদেশে সুপারহিট হওয়া অনেক ছবি তিনি কলকাতায় রিমেক করেছেন। তার মধ্যে ‘সুজন সখী’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘ভাই আমার ভাই’, অবুঝ মন’, ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’ উল্লেখ্য।

কলকাতায় আজকে তিনটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস, এসকে মুভিজ, টি সরকার প্রোডাকশান’র জয়জয়কার। এ তিনটি প্রতিষ্ঠানই স্বপন সাহাকে দিয়ে ছবি বানিয়ে কোটি কোটি টাকা মুনাফা ঘরে তুলেছে।

কলকাতায় সফল ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। ‘বাবা কেন চাকর’ ছবি দিয়ে ওপার বাংলার ইন্ডাস্ট্রিতে তুমুল জনপ্রিয়তা পান রাজ্জাক। এরপর তিনি কাজ করেন ‘অন্নদাতা’, ‘জন্মদাতা’ ইত্যাদি ছবিগুলোতে। সেখানেও তিনি দেখিয়েছেন শক্তিমান অভিনেতার মুন্সিয়ানা। হয়ে উঠেছিলেন কলকাতারও একজন প্রিয়মুখ।

ববিতা ছিলেন ঢাকাই সিনেমার প্রথম অভিনেত্রী, যিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। আর সেই সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অশনি সংকেত’ ছবির মাধ্যমে। বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একই নামের একটি অসমাপ্ত উপন্যাস অবলম্বনে এ ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন প্রখ্যাত নির্মাতা সত্যজিৎ রায়। ছবিটিতে ‘অনঙ্গ বউ’ চরিত্রে অভিনয় করে তিনি কলকাতার দর্শকদের মনে দাগ কেটেছেন। ববিতার নাম ছড়িয়ে যায় সারা পশ্চিমবঙ্গে।

একই বছরে যৌথ প্রযোজনায় ‘ধীরে বহে মেঘনা’ ছবি দিয়েও সাড়া পান ববিতা। আলমগীর কুমকুম পরিচালিত এ ছবিতে ববিতার সঙ্গে ছিলেন বুলবুল আহমেদসহ আরও অনেকেই। ব্যবসাসফল না হলেও ছবিটি দুই বাংলাতেই প্রশংসিত হয়। তবে তিনি আর সেখানে নিয়মিত হননি।

অনিয়মিত সাফল্য পেয়েছেন চিত্রনায়ক আলমগীর, শাবানা, নূতন, কবরীও। তবে নিয়মিত হতে পেরে তাদের চেয়ে এগিয়ে আছেন রোজিনা ও অঞ্জু ঘোষ। এ দুই অভিনেত্রী কলকাতার অনেক সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন। আর এ দুজনের মধ্যে অঞ্জু ঘোষ রয়েছেন এগিয়ে। তার ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ সিনেমাটি কলকাতায় রিমেক হয়েছিলো। সেখানে চিরঞ্জিতের বিপরীতে তিনি অভিনয় করে ওপাড়ের দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন। এরপর অঞ্জু মূলত নিজেকে কলকাতার সিনেমাতেই থিতু করে নেন। নিয়মিত সেখানে তিনি হাজির হয়েছেন রুপালি পর্দায় নানা চরিত্রে। 

১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবি দিয়ে কলকাতায় অভিনয়ের কারিশমা দেখিয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার মিষ্টি মেয়ে কবরী। এটি নির্মাণ করেছিলেন ঋত্বিক ঘটক। এরপর কবরীকে নিয়ে কলকাতার অনেক নির্মাতাই ছবি বানানোর আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তবে কবরী আর নিয়মিত হতে পারেননি।

কলকাতায় আলোচিত চম্পা ও রাইসুল ইসলাম আসাদও। তারা জুটি বেঁধে কলকাতায় বাজিমাত করেছিলেন গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ছবি দিয়ে। এরপর আসাদকে দেখা গিয়েছিল ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবিতেও। আর চম্পা অভিনয় করেছেন গৌতম ঘোষের ‘আবার অরণ্যে’ এবং ‘মনের মানুষ’ ছবিতে। এ দুটি ছবির মধ্যে ‘আবার অরণ্যে’ ছবিটি চম্পাকে কলকাতার দর্শকদের কাছে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা এনে দিয়েছিল।

তবে কলকাতায় বাংলাদেশি শিল্পী হিসেবে রাজকীয় অভিষেক ঘটেছিল চিত্রনায়ক ফেরদৌসের। বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবিটি। ব্যতিক্রমী এক প্রেমের গল্পে এ ছবি দিয়ে কলকাতার দর্শকের মনে স্থায়ী আসন গড়ে নেন ফেরদৌস। ছবিটিতে তার নায়িকা ছিলেন মিস ক্যালকাটা’খ্যাত প্রিয়াংকা ত্রিবেদী। এরপর তিনি যৌথ প্রযোজনার ‘চুড়িওয়ালা’, ‘শেষ বংশধর’, ‘বর্ষাবাদল’ ছাড়া কলকাতার একক প্রযোজনায় বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে হয়ে উঠেন সেখানকার ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় মুখ।

কলকাতার সিনেমার বাজারে অনিয়মিতভাবে হাজির হয়ে সাফল্য পেয়েছেন চিত্রনায়ক রিয়াজও। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘মনের মাঝে তুমি’ ছবি দিয়ে তিনি কলকাতায় একটি সুপারহিট ছবি উপহার দেন। তার সঙ্গে ছিলেন এপারের পূর্ণিমা ও কলকাতার যিশু সেনগুপ্ত। এরপর তাকে নিয়ে দুই বাংলাতে নির্মাণ হয় ‘প্রেম করেছি বেশ করেছি’, ‘নসিমন’ সিনেমাগুলো। প্রথম ছবিটিতে রিয়াজের নায়িকা ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং পরের ছবিটিতে দর্শক মাতিয়েছিলেন রিয়াজ-শাবনূর জুটি।

সর্বশেষ কলকাতার ইন্ডাস্ট্রিতে বাজিমাত করা তারকারা হলেন জয়া আহসান, শাকিব খান, নুসরাত ফারিয়া, আরিফিন শুভ। তাদের মধ্যে জয়া আহসানের গল্প সবটুকুই মুগ্ধতার। কলকাতায় গেল কয়েক বছর ধরেই বাণিজ্যিক ছবির বাজার পড়তি। সেখানে এখন জয়জয়কার চলছে ভিন্ন ধারার সিনেমার। আর সেই সিনেমার বাজারে কলকাতার রানী এখন বাংলাদেশের জয়া আহসান। একের পর এক হিট এবং আলোচিত সিনেমা উপহার দিয়ে টালিগঞ্জের নির্মাতাদের প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছেন তিনি।

বিশেষ করে কৌশিক মুখার্জির ‘বিসর্জন’ ছবিটি দিয়ে সমগ্র ভারত মাতিয়েছেন। এ ছবিটি জিতে নিয়েছে ভারতের জাতীয় পুরস্কার। বিদেশি শিল্পী হওয়ায় নিজে পুরস্কার না পেলেও পেয়েছেন ভূয়সী প্রশংসা। সেই প্রশংসার তালিকায় আছে রানী মুখার্জি, আনুশকা শর্মা, প্রসেনজিৎ, রঞ্জিত মল্লিক, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়দের মতো মানুষদের নাম। কলকাতায় পেয়েছেন ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ইস্ট’ ও ‘সেরা বাঙালি’ পুরস্কার। ২০১৯ সালের সিনেমার জন্য মনোনীত হয়েছেন কলকাতার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে, সেরা অভিনেত্রী হিসেবে। এখন ঢাকা-কলকাতা করেই দিন কাটছে তার। হাতে আছে ওপারের বেশ কয়টি সিনেমা।

কলকাতার নায়কদের সঙ্গে বেশ কিছু সিনেমা করে সেখানে পরিতিচ মুখ হয়ে উঠেছেন নুসরাত ফারিয়া। তৈরি করে নিয়েছেন শক্ত অবস্থান। এখনো কাজ করে যাচ্ছেন তিনি কলকাতার সিনেমা ও ওয়েব সিরিজে। একইভাবে কলকাতার ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়মিতভাবে কাজে করে শক্ত জায়গা করে নিতে সমর্থ হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার মাসলম্যান আরিফিন শুভও।

তবে ওপার বাংলার দর্শকের সামনে হাজির হয়ে নিয়মিত হননি মাহিয়া মাহি ও বিদ্যা সিনহা মিম।

এদিকে ২০১০ সালে ক্যারিয়ারের দারুণ সময়ে কলকাতার ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন শাকিব। এ নায়ক অভিনীত এফআই মানিক পরিচালিত ‘সবার উপরে তুমি’ নামে একটি ছবি বাংলাদেশে মুক্তি পায় ১৩ নভেম্বর ২০০৯ সালে। এটি নির্মিত হয়েছিল যৌথ প্রযোজনায়। বাংলাদেশে ভালো ব্যবসা করলেও এটি কলকাতায় তেমন সুবিধা করতে পারেনি। কলকাতায় শাকিবের বাজিমাত করা শুরু হয় ২০১৬ সালে ‘শিকারি’ ছবি দিয়ে। এ ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন শ্রাবন্তী। এরপর ‘নবাব’, ‘নাকাব’, ‘ভাইজান’ দিয়ে কলকাতার দর্শক জয় করেছেন শাকিব। শিগগিরই হয়তো দেখা মিলবে কলকাতার নতুন কোনো সিনেমায়।

উল্লেখ করা যায়, কলকাতার বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন অমিত হাসানও। আর নতুন করে কলকাতার বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন চঞ্চল চৌধুরী। ‘তাকদীর’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে বেশ আলোচনায় এসেছেন তিনি। কলকাতার দর্শকের কাছে অনেক আগে থেকেই পরিচিত ও জনপ্রিয় চঞ্চল। তবে সরাসারি সেখানকার কোনো নির্মাণে তাকে আগে দেখেননি দর্শক। ‘তাকদীর’ সেই সুযোগ করে দিয়েছে। ‘সর্বশেষ’ জি ফাইভে প্রকাশ হওয়া ‘কন্ট্রাক্ট’-ও মিলছে চঞ্চলের দেখা। আশা করা হচ্ছে এটি দিয়ে কলকাতার বাজারে নিজের নামের সুবাস আরও ছড়িয়ে দেবেন মিসির আলী।

ব্রাত্য বসুর ‘ডিকশনারি’ সিনেমা দিয়ে মোশাররফ করিমও বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছেন কলকাতার ইন্ডাস্ট্রিতে।

সেই তুলনায় এদেশে সিনেমা করে জয়শ্রী কর ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ছাড়া আর কোনো তারকাই এককভাবে সাফল্য পাননি। নিয়মিত তাদের দেখাও যায়নি। সবাই এসেছেন, ঝলক দেখিয়ে চলে গেছেন। কেউ কেউ তো ঝলকটাও দেখাতে পারেননি।

অভিনেত্রী জয়শ্রী রায় মিস ক্যালকাটা নির্বাচিত হয়েও ঢাকাই সিনেমায় কাজ করেছেন নিয়মিত।
অভিনেত্রী হিসেবে তার নাম যশ খ্যাতি সবই এখানে। আলমগীর কবিরের পরিচালনায় বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তিনি দারুণ অভিনয় করে সবার প্রিয় হয়ে উঠেন।

এছাড়া এপাড়ের সিনেমায় অভিনয় করে খানিকটা আলোচনা পেয়েছেন রচনা ব্যানার্জি। তবে বর্তমানে ঢাকাই সিনেমায় নিজের চাহিদা তৈরি করতে পেরেছেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। এছাড়া এপাড়ে বেশ জনপ্রিয় হলেও নিয়মিত না হওয়ায় এখানে চাহিদা তৈরি করতে পারেননি মিঠুন চক্রবর্তী, চাঙ্কি পান্ডে, প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, স্বস্তিকা মুখার্জি, পাওলি দাম, নুসরাত জাহান, সায়ন্তিকা, ওম সাহানিরা।

কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলোর বাইরে গিয়ে অবশ্য রজতাভ দত্ত এ বাংলার সিনেমায় একটা চাহিদা করতে পেরেছেন।

হিসেব বলছে দুই বাংলার আদান প্রদানে স্থায়ীত্ব ও একক সাফল্যের বিবেচনায় বাংলাদেশের তারকারাই এগিয়ে রয়েছেন।

এলএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।