সিনেমার সফল জুটি এটিএম-রিয়াজ, সম্পর্ক ছিলো আত্মার
‘সম্পর্কটা ছিলো পিতা পুত্রের মতো। একজন অভিভাবক হিসেবে তাকে পেয়েছি সবসময়। একজন শিক্ষকও ছিলেন। তার কাছে অভিনয়ের অনেক কিছু শিখেছি। মুগ্ধ করতো তার ভাবনাগুলো। তার চলে যাওয়ার যে অভাব তা কোনোদিন পূরণ হবে না’- কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে হারিয়ে এভাবেই শোক জানালেন চিত্রনায়ক রিয়াজ।
এটিএম শামসুজ্জামানের সঙ্গে তার সম্পর্কটা ছিলো জমজমাট। বহু সিনেমায় তারা একসঙ্গে কাজ করেছেন। তারমধ্যে ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘জামাই শ্বশুর’, ‘টক ঝাল মিষ্টি’, ‘মোল্লাবাড়ির বউ’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘শাস্তি’, ‘এবাদত’ সিনেমাগুলো অন্যতম।
নিজের ক্যারিয়ারের একমাত্র একটি সিনেমা পরিচালনা করেছেন এটিএম শামসুজ্জামান। ‘এবাদত’ নামের সেই সিনেমাতেও তিনি নায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন রিয়াজকে। নায়িকা ছিলেন শাবনূর। তাই প্রিয় অভিনেতার প্রস্থান বেদনার সমুদ্র জাগিয়েছে রিয়াজের অন্তরে।
তিনি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অসাধারণ একজন অভিনেতা ছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। তূখোড় মেধাবী ও পরিশ্রমী। জানিনা কেন তিনি আমাকে খুব ভালোবাসতেন। তার প্রথম পরিচালিত সিনেমার নায়ক ছিলাম আমি। আজ এটা ভেবে অনেক আনন্দ পাচ্ছি, আবেগী হয়ে পড়ছি।
এছাড়া তার লেখা ‘মোল্লাবাড়ির বউ’ সিনেমাতেও আমি অভিনয় করেছি। কাজ করতে গিয়ে আমাদের মধ্যে আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তিনি না থাকলেও এই সম্পর্কটা থেকে যাবে। আমি তাকে লালন করবো আমার মধ্যে।’
মানুষ এটিএম শামসুজ্জামান প্রসঙ্গে রিয়াজ বলেন, ‘খুব মিশুক ছিলেন। সবার সঙ্গেই মিশতে পারতেন। তার সঙ্গে শুটিংয়ে প্রচুর মজা করতাম। আমি কখনোই তাকে গোমড়া মুখে দেখিনি। জীবনে তিনি অনেক সংগ্রাম পাড়ি দিয়েছেন। অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়েছে। কিন্তু কোনোদিন সেইসব সমস্যার কোনো ছাপ তার চেহারা বা পেশায় পড়েনি।’
এটিএম শামসুজ্জামানের বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করে দেশবাসীর কাছে এই অভিনেতার জন্য দোয়া চেয়েছেন রিয়াজ।
এলএ/এমএস