এইডস আতঙ্কে হলিউড স্টার শিনের বান্ধবী!


প্রকাশিত: ০৭:৪৫ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

হলিউডের জনপ্রিয় ও দামি অভিনেতা চার্লি শিন। গেল বছর চারেক ধরেই তিনি এইডস রোগে আক্রান্ত। তবে বিষয়টি তিনি নিজের পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন। সম্প্রতি এক টিভির সাক্ষাতকারে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘আমি এইচআইভি পজিটিভ’!

তার ঘোষণার পর থেকেই হলিউডে এই অভিনেতার জন্য সমবেদনা জানিয়েছেন অনেকেই। তবে আতঙ্কে রয়েছেন তার প্রাক্তন বান্ধবী ব্রি ওলসন। এই পর্ন তারকার দাবি, ২০১১ সালের শেষের দিকে চার্লির সঙ্গে বহুবার তার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু নিজের অসুখের কথা ব্রিকে নাকি কিছুই জানাননি চার্লি। আর তাই এইডস নিয়ে দারুণ শংকায় পড়ে গেছেন সাবেক এই অ্যাডাল্ট স্টার।

ব্রি মার্কিন গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি চার্লির সঙ্গে এক বছর ছিলাম। প্রায় প্রতিদিনই আমাদের শারীরিক সম্পর্ক হত। কিন্তু কখনও ও আমাকে জানায়নি যে ও এইচআইভি পজিটিভ। আমরা যে কণ্ডম ব্যবহার করতাম তাতে শুধুমাত্র প্রেগন্যান্সি আটকানো যায়; এইডসের জীবানু আটকায় না। এখন তো মনে হচ্ছে খুব বোকার মতো কাজ করেছি আমি। আর ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে চার্লিও আমাকে প্রতারিত করেছে। যদি আমিও এই রোগে আক্রান্ত হই তবে কী হবে? সবাই মরবে, কিন্তু এমন নোংরা অসুখে মৃত্যু চায় না কেউ। আমিও না।’

যদিও ব্রিয়ের দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে চার্লি জানিয়েছেন, এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার পরেও নিয়মিত অসুরক্ষিত যৌন সঙ্গম করেছেন। আর এতে নাকি ওই রোগ ছড়িয়েছে তার সঙ্গে সময় কাটানো দু’জন মাত্র যৌনকর্মীর দেহে। ওই ঘটনা ছাড়া প্রায় প্রতিটি সঙ্গীকেই তিনি নিজের এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

গেল মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর এনবিসি-র টুডে শো-তে বসে চার্লি শিন জানিয়েছিলেন, ‘আমি নিজেই স্বীকারোক্তি দিচ্ছি এইচআইভি পজিটিভ। আমাকে ঘিরে রোজকার এই আক্রমণ, এই অর্ধ সত্য খুবই ক্ষতিকারক। এ ধরনের গল্পে আমার চারপাশের মানুষের উপরও প্রভাব পড়ছে।’

হলিউড অভিনেতা চার্লি শিনের সমার্থক শব্দটি বোধহয় বিতর্ক। কিংবদন্তি অভিনেতা মার্টিন শিনের ছেলের অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল হলিউডের বেশ কয়েকটি নামজাদা ফিল্মে। কিন্তু, খ্যাতির সঙ্গে সঙ্গে নিজের অনিয়ন্ত্রিত রঙিন জীবন নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি।

‘প্ল্যাটুন’, ‘ওয়াল স্ট্রিট’, ‘মেজর লিগ’, ‘মানি টকস’ বা ‘বিইং জন ম্যালকোভিচ’-এর মতো বক্স অফিসে সাফল্য পাওয়া ছবিতে এক সময় হলিউড কাঁপালেও তার ক্যারিয়ার গ্রাফ ক্রমশই নীচের দিকে নামতে থাকে উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনের কারণে।

অবশ্য বিরতি শেষে আবারো তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন টেলি-সিরিজে। তবে তাতেও আসে ভাটার টান ২০১১-তে। জনপ্রিয় সিটকমের ‘টু অ্যান্ড আ হাফ মেন’-এ নির্মাতার সমালোচনা করে সেখান থেকেও বাদ পড়েন। গোল্ডেন গ্লোব জয়ী অভিনেতার শেষের বোধহয় সেই শুরু। সঙ্গী হিসেবে একাধিক পর্নস্টারদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার।

এক সময় তো প্রকাশ্যে স্বীকার করেন, দু’জন পর্নস্টারের সঙ্গে একই ছাদের নীচে লিভ-ইন করছেন তিনি। তাদেরই একজন ব্রি ওলসন।

এলএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।