অশান্তি সৃষ্টিকারীরাও মুনাফিক
কুফরি ও পাপাচারের কারণে জমিনে অশান্তি ও সন্ত্রাসের সৃষ্টি হয়। আর আল্লাহর আনুগত্যে নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক যুগের মুনাফিকদের কাজই হলো যে, তারা অশান্তি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে, অন্যায়ের প্রচার-প্রসার করে এবং আল্লাহর সীমা লংঘন করে। অথচ তারা দাবি করে যে, তারা সমাজ সংস্কার করে, শান্তি ও উন্নতির চেষ্টায় নিয়োজিত। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা শান্তি বিনষ্টকারী, দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারীদের মুনাফিক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
আল্লাহ বলেন-
আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি। মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১১-১২)
ইসলামের কোথাও অশান্তি সৃষ্টি করার কথা নেই। দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির কথাও নেই। ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় তথা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রত্যেকটি পর্যায়ে ইসলাম সুন্দর ও শান্তিময় পৃথিবী গড়ে তোলার আহবান করেছেন। যারাই এর বিরোধিতা করেছেন তারাই অশান্তি সৃষ্টিকারী।
মানুষের দুনিয়ার জিন্দেগীতে চলাফেরায় অর্থের প্রয়োজন। অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আল্লাহ তাআলা শুধুমাত্র জাকাত ব্যবস্থাই প্রণয়ন করেননি। ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর করতে জাকাতের পাশাপাশি দান-সাদাকার জোর তাগিদ দিয়েছেন। সঠিক ও সুন্দর জীবন-যাপনে দিয়েছেন সুন্দর ও সর্বোত্তম মানদণ্ড। অধিকার আদায়ে দিয়েছেন সর্বোত্তম উপেদশ। ব্যবসাকে হালাল ও সুদের শোষনকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থায় দেয়া হয়েছে পৃথিবীর সর্বোত্তম বিধান। চিন্তা-চেতনা ও গবেষণার দ্বারকে উম্মুক্ত করেছে কুরআনের সুক্ষ্ণাতি সুক্ষ্ম জ্ঞান। জীবনাচরণের সর্বোত্তম পন্থাও রয়েছে অসংখ্য। যা বলে শেষ করা যাবে না।
পৃথিবীর এ সুন্দর জীবন ব্যবস্থায় যারাই দাঙ্গা-হাঙ্গামা-অশান্তি তথা ফাসাদ সৃষ্টি করবে, তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের কথাই তুলে ধরা হয়েছে। অথচ এ ফাসাদ সৃষ্টিকারীরা নিজেদেরকে শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে দাবি করবে। মূলত তারা শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী নয়। তারাই হলো মুনাফিক।
আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে উক্ত নিফাকি তথা কপটতা থেকে মুক্ত করে সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে কুরআনের জ্ঞান অর্জন করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : [email protected]
জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস/আরআইপি