চার নেতার দখলে জবির টিএসসি


প্রকাশিত: ০১:০৯ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের চার নেতার দখলে রয়েছে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের টিএসসি। জানা গেছে, জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম সিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জাহিদ বিল্লা মামুন ও হিমেলুর রহমান হিমেল এবং যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক (বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্ককৃত) সঞ্জিব বসাকের নির্দেশে টিএসসিতে বসানো হয়েছে কাপড়ের ব্যাবসা। মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা দখলদারদের উচ্ছেদ করলে আবার দোকান বসানোর নির্দেশ দেন তারা।

মঙ্গলবার দুপুরে জবি টিএসসি উদ্ধারের দাবিতে টিএসসির সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে করে জবি ছাত্র ইউনিয়ন। সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী শুভ বলেন, জবি ছাত্রলীগের প্রত্যক্ষ মদদে প্রস্তাবিত টিএসসিতে কাপড়ের ব্যাবসা করছে ছাত্রলীগের সহ-সভাপিত মামুন এবং বহিরাগত দোকানদার ইউনুছ।

সমাবেশ শেষে দুপুর ১টার দিকে ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী টিএসসিতে অবস্থিত অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এসময় ব্যাবসায়ীরা মালপত্র নিয়ে টিএসসি ছেড়ে চলে যেতে চাইলে তাদেরকে আবার দোকান ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের কর্মী মামুন, হিমেল এবং সঞ্জিব বসাক।

tac
এ বিষয়ে মামুন বলেন, তার ১৬ লাখ টাকার পুরনো কাপড় গত বছর বিক্রি করতে পারেননি। এ বছর বিক্রি করতে না পারলে তার অনেক বড় লোকসান হয়ে যাবে। এ জন্য তিনি দোকান বসিয়েছেন। এ ব্যাপারে পত্রিকায় খবর প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।

এদিকে, টিএসসি দখলের সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ এখানে কিছুই করছে না। জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব দখলমুক্ত করা। যারা কাপড়ের ব্যবসা বসিয়েছিল তাদেরকে উঠে যেতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সহ-সভাপতি হিমেল বলেন, টিএসসি উদ্ধার হোক তা তিনিও চান। তিনি কোন দোকান বসাননি।

দোকান বসানোর কথা অস্বীকার করেছেন যুগ্নসাধারণ সম্পাদক সঞ্জিব বসাকও। তিনি বলেন, তিনি ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন। কিন্তু টিএসসিতে যাননি। তবে বামপন্থি ছাত্ররা সেখানে ভাঙচুর করেছেন বলে শুনেছেন তিনি।

জবি ছাত্রলীগের সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম বলেন, টিএসসি প্রতিষ্ঠা জবি শিক্ষার্থীদের একটি  স্বপ্ন। জায়গাটি আমরা আন্দোলন করে দখল করেছি। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যার্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জায়গাটি আবার বেদখলে চলে গেছে। এজন্য আন্দোলন করতে প্রস্তুত জবি শিক্ষার্থীরা। শিগগির জবি ভিসির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

এসএম/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।