সাঈদ হত্যা : ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন


প্রকাশিত: ০৭:১৭ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

সিলেটে শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পুলিশের এক কনস্টেবলসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়েছে। বহুল আলোচিত এ পৈশাচিক হত্যার আট মাস পর বিচার কাজ শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগামি ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুুপুরে মামলার এজাহারভুক্ত সকল আসামির উপস্থিতিতে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশীদ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযুক্তদের সবাই সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মহি হোসেন মাছুম এবং র্যাব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা।

সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের পিপি আব্দুল মালেক জাগো নিউজকে জানান, অভিযোগ গঠনের পর আগামী ১৯ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক।

এর আগে মামলার চার্জ গঠন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে কারাগারে আটক থাকা চারজনকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ২৯ অক্টোবর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম চার্জশিট আমলে নিয়ে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নথিপত্র স্থানান্তর করেন।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী। এর আগের দিন ২২ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানা পুলিশের ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসাইন এসি প্রসিকিউশনের কাছে মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) হস্তান্তর করেন।
 
পুলিশের অভিযোগপত্রে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুলসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়। অন্যরা হলেন, র্যাব ও পুলিশের কতিথ সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মহি হোসেন মাছুম।

গত ১১ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝরনারপাড় সবুজ (৩৭) বাসার ছাদের চিলেকোঠার একটি ঘর থেকে আবু সাঈদের অর্ধগলিত মরদেহ সাতটি পলিথিনের বস্তার মধ্যে মোড়ানো অবস্থায়  উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল এবাদুর, পুলিশের সোর্স গেদা ও ওলামা লীগ নেতা রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর এই তিনজনই ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।

নিহত আবু সাঈদ নগরের রায়নগর শাহমীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ও রায়নগর দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আব্দুল মতিনের ছেলে। মতিনের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার খাশিলা গ্রামে।
    
ছামির মাহমুদ/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।