মেয়েকে নিয়ে অজন্তা ও ইলোরার পথে পথে মিথিলা
দারুণ সময় কাটাচ্ছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। বাংলাদেশি এই তারকা বর্তমানে রয়েছেন ভারতে। সেখানে স্বামী সৃজিত মুখার্জি ও কন্যা আইরাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নানা স্থানে। কিছুদিন আগেই পারিবারিক ট্যুর শেষ করেছেন সিকিমে।
এবার তারা হাজির ইতিহাস-ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত ভারতের প্রাচীন নিদর্শন অজন্তা ও ইলোরায়। গুহামন্দিরের জন্যও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় অজন্তা ও ইলোরা। স্ত্রী-কন্যাকে নিজের দেশের ঐতিহাসিক স্থান দুটি দেখাতে নিয়ে গিয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
অজন্তা ও ইলোরার নানান ছবি উঠে এসেছে সৃজিত ও মিথিলার সোশাল মিডিয়ায়।
১৯৮৩ সাল থেকে মহারাষ্ট্রে এই দুটি স্থান ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মধ্যে পড়ে। অজন্তা হল মহারাষ্ট্রে গভীর খাড়া গিরিখাতের পাথর কেটে খোদাই করা প্রায় ৩০টি গুহা-স্তম্ভ। মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গবাদ জেলার জলগাঁও রেলস্টেশনের কাছে, আজিন্তা বা অজন্তা গ্রামের প্রান্তে রয়েছে এই গুহাগুলো।
অজন্তায় পাওয়া ছবি ও ভাস্কর্য, তৎকালীন বৌদ্ধধর্মীয় শিল্পের উৎকৃষ্ট নিদর্শন। অজন্তার দেয়ালের চিত্রগুলিতে বুদ্ধের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। ফ্রেস্কো ধাঁচের এই দেয়ালচিত্রগুলোর জীবন্তরূপ এবং এগুলো তে নানা রঙের সমৃদ্ধ ও সূক্ষ্ম প্রয়োগ এগুলোকে ভারতের বৌদ্ধ চিত্রশিল্পের সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শনে পরিণত করেছে।
অজন্তাশৈলী ভারতে এবং অন্যত্র যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে, বিশেষ করে জাভাতে। সংশ্লিষ্ট দুই মিনার গোষ্ঠীর সঙ্গে,ভারতীয় ইতিহাসের দুই গুরুত্বপূর্ণ সময় জড়িয়ে আছে।
সামগ্রিক অজন্তা গুহা, ভারতীয় শিল্পবিবর্তনের ব্যতিক্রমী সাক্ষ্য বহন করে, সেইসাথে বৌদ্ধসম্প্রদায়ের ভূমিকা নির্ধারণ করে, বুদ্ধিজীবী ও ধর্মীয় প্রেক্ষাগৃহগুলো, ভারতে গুপ্ত এবং তাদের তাৎক্ষণিক উত্তরাধিকারীর বিদ্যালয়গুলো ও অভ্যর্থনা কেন্দ্রগুলো।
এলএ/এমএস