শিল্পকলায় আন্তর্জাতিক মৃত্তিকালগ্ন নাট্যোৎসব
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক মৃত্তিকালগ্ন নাট্যোৎসব ঢাকা ২০১৫’। রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় আয়োজিত এই উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্বাঞ্চলের ১৫টি নাট্যদল অংশগ্রহণ করবে।
আগামী ১৯ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত জাতীয় নাট্যশালার মূল হল, পরীক্ষণ থিয়েটার হল ও নন্দনমঞ্চে একযোগে এই উৎসব চলবে।
উৎসবের বিস্তারিত জানাতে সোমবার দুপুর ১২টায় জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে(৭ম তলা) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান, উৎসব কমিটির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী লাকী, উৎসব কমিটির সদস্য সচিব কামাল বায়েজিদ, মোহাম্মদ বারী, চন্দন রেজা, মীর জাহিদ হাসান, তপন হাফিজসহ অনেকে।
উৎসব কমিটির সদস্য সচিব কামাল বায়েজিদ উৎসবের বিস্তারিত দিক তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৮ দিনব্যাপি এই নাট্যোৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের ১৬টি বৈচিত্রময় নাট্যক্রিয়ার প্রদর্শন করবে বিভিন্ন নাট্যদল।
বাংলাদেশের চাকমা, মণিপুরি, ত্রিপুরা, সাঁওতাল, গারো, মারমা, ওঁরাও, এবং ভারতের অসমিয়া, খাসী, বড়ো, মণিপুরি, ত্রিপুরা, মিজো, ঝাড়খণ্ড ও ছৌ মৃত্তিকালগ্ন গোষ্ঠির নাট্যদলসমূহ তাদের প্রশংসিত নাটক মঞ্চস্থ করবে এই নাট্যোৎসবে।
আগামী ১৯ নভেম্বর বিকেল ৫টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে এই উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন মাননীয় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশস্থ ভারতীয় দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত জনাব পঙ্কজ শরণ। একই সঙ্গে আয়োজনটি সম্প্রসারিত হবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও যশোরে।
নাট্যোৎসবে প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে রয়েছে আমন্ত্রিত দেশি ও বিদেশি নাট্যদলসমূহের ঐতিহ্যবাহি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ পরিবেশনা সকল দর্শকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
প্রতিদিন সন্ধ্যে ৬টায় পরীক্ষণ থিয়েটার হলে রয়েছে বাংলাদেশের মৃত্তিকালগ্ন সম্প্রদায়ের পরিবেশনায় নাটক এবং সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে রয়েছে ভারতীয় নাট্যদল সমূহের পরিবেশনায় নাটক।
এই নাট্যোৎসবে যুক্ত রয়েছেন বাংলাদেশের বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, আলী যাকের, নাসিরউদ্দিন ইউসুফসহ আরো অনেকে। এছাড়াও রয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ইউনেস্কো (ঢাকা অফিস), বাংলাদেশ ভারত ফাউন্ডেশন ও চ্যানেল আই, নিউ জড়োয়া হাউস, সিম্ফোনি, আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ফিম্স, রেডিও ভূমি, ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ, দি প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’সহ আরো অনেক দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা।
এলএ/পিআর