যে কারণে আজীবন নিষিদ্ধ হলেন অনন্য মামুন
‘নবাব এলএলবি’ সিনেমায় পুলিশকে নিয়ে অশালীন সংলাপের অভিযোগে গত ২৪ ডিসেম্বর গ্রেফতার হন অনন্য মামুন। তার সঙ্গে গ্রেফতার হন এ সিনেমার অভিনেতা শাহিন মৃধা।
এরপর ডিবির পুলিশ পরিদর্শক কাজী মো. নাসিরুল মামুন রমনা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি মামুনের সদস্যপদ আজীবনের জন্য স্থগিত করেছে। অর্থাৎ আজীবন পরিচালক সমিতিতে নিষিদ্ধ হয়েছেন অনন্য মামুন।
গতকাল ১৭ জানুয়ারি পরিচালক সমিতির কার্য নির্বাহী কমিটির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল শনিবার আমাদের বৈঠক ছিলো। সেখানেই অনন্য মামুনের সদস্যপদ স্থায়ীভাবে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অনন্য মামুন সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন। এর আগেও তার নামে অভিযোগ ছিল। তখন তার পদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছিল। এবার আজীবনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।’
অনন্য মামুনের মামলাটি এখনো চলমান। তার কোনো নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই সমিতির এ সিদ্ধান্ত কেন? সে বিষয়ে পরিচালকদের নেতা খোকন জানান, পুলিশকে নেতিবাচকভাবে সিনেমায় উপস্থাপন করে অনন্য মামুন পর্নোগ্রাফি আইনে আটক হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিকে হেয় করেছেন। সমিতির মান সম্মানে আঘাত দিয়েছেন অভিযোগ তুলে একাধিক সিনেমা পরিচালকরা তাকে সমিতি থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন।
সে প্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালক সমিতি। আদালতের সঙ্গে সমিতির এ সিদ্ধান্তের কোনো সর্ম্পক নেই।
প্রসঙ্গত, চিত্রনাট্যকার হিসেবে ২০০০ সালে ফিল্ম ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন অনন্য মামুন। ২০১২ সালে পরিচালনায় নামেন তিনি। এরপর নির্মাণ করেছেন প্রায় দশটি সিনেমা। সর্বশেষ তিনি ‘নবাব এলএলবি’ নির্মাণ করেছেন। আর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে চলতি বছরে ৫টি সিনেমা পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন।
এলএ/এমকেএইচ