বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠক আজ


প্রকাশিত: ১২:১৫ এএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক আজ (সোমবার) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকে যোগ দিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মেহঋষি আজই তিন দিনের সফরে ঢাকা আসছেন। স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক দুপুরের পর সোনারগাঁও হোটেলে শুরু হবে। বৈঠকে সীমান্ত হত্যা, সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমন ইস্যু প্রাধান্য পাবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব। অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর এবং নূর হোসেনকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনার পর এ বৈঠকে অপরাপর সন্ত্রাসীদের আদান-প্রদানের বিষয়ে আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুই দেশের স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে সীমান্ত হত্যা বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী ঢাকা। বিভিন্ন সময় এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ঢাকার পক্ষ থেকে এবারের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়টি তুলে ধরা হবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের গ্রামে ঢুকে বিএসএফ সদস্যরা নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে বলে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ভারতকে জানিয়েছে। এ বিষয়টি এবারের বৈঠকে প্রাধান্য পাবে। এর আগের বৈঠকেও সীমান্তে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে।

সে সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়, সীমান্তে গরু পাচার বন্ধ না হলে হত্যা বন্ধ হবে না। গরু পাচার বন্ধে দুদেশের সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে যৌথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়। দিল্লির বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিএসএফের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গ্রামে প্রবেশ করে কথিত চোরাচালানকারী হত্যা করার অন্তত দুটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।

বিএসএফের দেয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশে ভারতের গরু চোরাচালান ৭০ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ত্রিপুরা সীমান্তের কাছে সীমান্ত চৌকি নির্মাণ বিষয়ে আলোচনার আগ্রহও প্রকাশ করা হয়েছে। এটি নিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের গত বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতাও হয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ত্রিপুরা সীমান্তে চৌকি নির্মাণের জন্য ভারতের ভূমির ওপর দিয়ে কাঁচামাল ও শ্রমিক নেয়ার অনুমতি চেয়েছে বাংলাদেশ। সীমান্ত এলাকায় এ চৌকি নির্মাণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে ভারত। এবারের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা করা হবে।

সূত্র জানায়, সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার বন্ধ, সীমান্ত এলাকাকে ঘিরে সন্ত্রাসবাদীদের তৎপরতা রোধ এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়গুলো এবার ভারত গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরবে। বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড নিয়ে ভারতের গোয়েন্দাদের হাতে থাকা তথ্যও বাংলাদেশকে দেয়া হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দুদেশের কাছে থাকা অভ্যন্তরীণ এবং আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদীদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও তথ্য বিনিময় করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। গত বছর সেপ্টেম্বরে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।