যে দোষ বলা গিবত নয়
গিবত হচ্ছে কোনো মানুষের ব্যাপারে তার অগোচরে কোনো দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা। গিবত মারাত্মক অপরাধ। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভাইয়ের মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।’ কিন্তু এমন কিছু দোষ রয়েছে যা বর্ণনা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য তা অবগত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-
যে সব ক্ষেত্রে গিবত করা জায়েজ
০১. জালিমের বিরুদ্ধে এমন কারো নিকট অভিযোগ করা, যে তার জুলুমকে রুখতে পারে।
০২. ডাক্তারের নিকট রোগীর অবস্থা বর্ণনা করা। যা না করলে রোগীর জীবন নিয়ে আশংকাময় হতে পারে।
০৩. বিপথগামীতা অথবা বিপর্যস্ত জীবন থেকে ফিরাতে পরামর্শ গ্রহণের জন্য কারো অবস্থা প্রকাশ করা।
০৪. মুহাদ্দিসগণ হাদিসের হিফাজতের জন্য বর্ণনাকরীদের সমালোচনা করা।
০৫. ফতোয়ার জন্য মুফতির নিকট প্রকৃত অবস্থা দোষ-গুণের বিষদ বর্ণনা দেয়া।
০৬. মুসলমানকে দুনিয়া-আখিরাত তথা দ্বীনি কোনো ক্ষতি থেকে হিফাজতের জন্য কারো অবস্থা প্রকাশ করা।
০৭. যে ব্যক্তি নিজেই নিজের দোষ বলে বেড়ায় তার দোষ বর্ণনা করা। যা মানুষের উপকারে আসে।
তথ্যসূত্র : তাফসিরে জালালাইন
সুতরাং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণে আসে, এমন ক্ষেত্রে গিবত করা জায়েজ। আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে গোনাহ থেকে বাঁচিয়ে নাজাতের পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : [email protected]
জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস/এসএম