২০২০ সালে মারা গেছেন যেসব তারকা
সারা পৃথিবীতেই বিষাদের বছর হিসেবে ইতিহাসে থেকে যাবে ২০২০ সাল, করোনাভাইরাস তাণ্ডবের সাক্ষী হয়ে। এই বছরে মাহমারি করোনার শিকার হয়ে মারা গেছেন সারা দুনিয়ার অনেক তারকা। বাংলাদেশেও শোকের পর শোক নেমেছে করোনার কারণে।
এছাড়াও নানা রকম অসুখে ভুগে মারা গেছেন নানা অঙ্গনের অনেক তারকা। দেখে নেয়া যাক ২০২০ সালে আমরা চিরতরে হারিয়ে ফেলেছি যেসব তারকা ও গুণী মানুষদের-
প্রযোজক মতিউর রহমান পানুর বিদায়
‘বেদের মেয়ে জোছনা’খ্যাত প্রযোজক, পরিচালক মতিউর রহমান পানু মারা গেছেন ২৪ মার্চ রাত ১১টা ২০ মিনিটে। তিনি রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসায় মারা যান। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন ‘মনের মাঝে তুমি’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক পানু।
চিরতরে হারিয়ে গেলেন নায়িকা জবা
‘জিঘাংসা’ ছবির খুরশিদ আলম ও রুনা লায়লার গাওয়া ‘পাখির বাসার মতো দুটি চোখ তোমার, ঠিক যেন নাটোরের বনলতা সেন’ গানটি তুমুল জনপ্রিয় ছিল সত্তর দশকে। এই গানে পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছিলেন নায়ক ওয়াসিম ও জবা চৌধুরী। তার পারিবারিক নাম জোবায়দা খাতুন। ঢাকায় যোগ দেন মঞ্চনাটকে। সেখানে বেশ কিছু বিখ্যাত নাটকে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। ক্যারিয়ারের মধ্য গগনে থাকা অবস্থায় এক প্রযোজককে বিয়ের পর অভিনয় থেকে দূরে সরে যান জবা। অবশেষে মৃত্যুর পর খোঁজ মিললো তার। জানা যায়, চলতি বছরের ৩ মে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় নিজ বাড়িতেই মারা যান জবা। সেখানেই হয়েছে তার দাফন।
রানা হামিদের প্রস্থান
ঢালিউডের আলোচিত ব্যবসা সফল ছবি ‘গ্যাং লিডার’- এর অভিনেতা রানা হামিদ মারা গেছেন। চলতি বছরের ৯ মে রাত সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শ্যামলীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পাকস্থলির ক্যান্সার ও কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন এই অভিনেতা। নব্বই দশকে একাধিক ছবিতে কাজ করে পরিচিতি পাওয়া এ অভিনেতা বর্তমানে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
সংগীতঙ্গ আজাদ রহমান চলে গেলেন
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী সুরকার, সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী আজাদ রহমান মারা গেছেন চলতি বছরের ১৬ মে। আজাদ রহমানের বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত’, ‘ও চোখে চোখ পড়েছে যখনই’, ‘মনেরও রঙে রাঙাব’, ‘ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়’সহ অনেক গানে সুর দিয়েছেন তিনি।
আজাদ রহমানের জন্ম ১৯৪৪ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায়। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি কীর্তন, ধ্রুপদী সংগীতের পাশাপাশি খেয়াল, টপ্পার চর্চা করেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন আজাদ রহমান। ১৯৬৩ সালে কলকাতার ‘মিস প্রিয়ংবদা’ চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে আজাদ রহমানের চলচ্চিত্রে আগমন। এরপর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সংগীতের একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে।
প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরের বিদায়
চলতি বছরেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন দেশের ‘প্লেব্যাক সম্রাট’খ্যাত জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। ৬ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা ১৩ মিনিটের দিকে রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন আটবার চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই বরেন্য শিল্পী।
১৯৭৭ সালে এন্ড্রু কিশোর আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু করেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙ্গাল’ প্রভৃতি।
সুরের যাদুকর আলাউদ্দীন আলীর চলে যাওয়া
বরেণ্য সংগীতব্যক্তিত্ব আলাউদ্দীন আলী মৃত্যুবরণ করেন চলতি বছরের ৯ আগস্ট। সেদিন রোববার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আলাউদ্দীন আলী ফুসফুসের প্রদাহ ও রক্তে সংক্রমণের সমস্যায় ভুগছিলেন দীর্ঘদিন থেকে। প্রথমে ২০১৫ সালের ৩ জুলাই আলাউদ্দীন আলীকে ব্যাংকক নেওয়া হয়েছিল। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, তাঁর ফুসফুসে একটি টিউমার রয়েছে। এরপর তার অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি ক্যানসারের চিকিৎসাও চলছিল।
এর আগে বেশ কয়েক দফায় তাঁকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বাংলাদেশ ও ব্যাংককে তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। সাভারে সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন অব প্যারালাইজড কেন্দ্রেও চিকিৎসা নিয়েছেন দীর্ঘদিন। অবশেষে সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে ৯ আগস্ট মারা যান বহু কালজয়ী গানের স্রষ্টা আলাউদ্দীন আলী।
মৃত্যুর পরও অবহেলার শিকার অভিনেত্রী মিনু মমতাজ
অনেক দিন থেকে কিডনি এবং চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেত্রী মিনু মমতাজ। অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টায় রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।
হাসপাতাল থেকে আরও জানানো হয়, তার ভোটার আইডি কার্ডের নাম জয়নব হাবিব। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও চোখের সমস্যা ছিল তার। সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। দেখা দেয় জ্বর ঠান্ডা। করোনা সন্দেহে তাকে আত্মীয়রা গত ৪ সেপ্টেম্বর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এখানে টেস্ট করার পর তার করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এরপর তাকে করোনার বিশেষ বিভাগে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। সেই চিকিৎসা বাবদ প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা বিল বাকি ছিলো হাসপাতালে। বিল পরিশোধ করতে হবে শুনেই তার মরদেহ নিতে আসছিলেন না তার পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে অভিনয় শিল্পী সংঘ ও মিনু মমতাজের এক ভাগ্নির সহায়তায় তার দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী মিনু মমতাজকে চিকিৎসার জন্য গত বছর ৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনায় হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্র কে এস ফিরোজ
নাট্যদল ‘থিয়েটার’–এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয়ে কে এস ফিরোজের পথচলা শুরু। এই দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, ‘কিং লিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ নাটকে। ৯ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান তিনি। অভিনয়ের উজ্জ্বল এই নক্ষত্রটি ঝরে গেল করোনার শিকার হয়ে।
কে এস ফিরোজ ১৯৬৭ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। মেজর হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭৭ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। তার পুরো নাম খন্দকার শহীদ উদ্দিন ফিরোজ। তিনি ১৯৪৬ সালের ৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। বরিশালের উজিরপুরের মশাং গ্রামে তাদের আদি নিবাস হলেও ফিরোজের জন্ম ঢাকার লালবাগে। তার বাবার নাম এ জে এম সাইদুর রহমান। তবে এলাকার মানুষ তার বাবাকে উজির মিয়া নামেই চিনতেন। কে এস ফিরোজের মা রাবেয়া খাতুন। ফিরোজ ১৯৭৪ সালের ১ নভেম্বর বিয়ে করেন। তিনি স্ত্রী মাধবী ফিরোজ এবং তিন মেয়ে রেখে গেছেন।
করোনায় মারা গেছেন সাদেক বাচ্চু
কে এস ফিরোজের শোক মুছতে না মুছতেই খবর আসে আরও এক প্রতাপশালী অভিনেতার মৃত্যুর। ১৪ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন নন্দিত অভিনেতা সাদেক বাচ্চু। সেদিন দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
৬৬ বছর বয়সী এ অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। ২০১৩ সালে তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছিল। সর্বশেষ ৬ সেপ্টেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিনেতা সাদেক বাচ্চুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনার উপসর্গ থাকায় চিকিৎসকদের পরামর্শে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা শেষে দেখা যায় সাদেক বাচ্চু কোভিড-১৯ পজিটিভ। সেই করোনার শিকার হয়েই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিলেন চলচ্চিত্রের খল চরিত্রের অনবদ্য এই অভিনেতা।
‘বড়চাচা’ আলী যাকেরও চলে গেলেন
ক্যান্সারের সঙ্গে চার বছরের লড়াই শেষে চির বিদায় নিলেন অভিনেতা, নির্দেশক আলী যাকের। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ নভেম্বর ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয় বলে তার বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আলী যাকেরের ছেলে ইরেশ যাকের ফেইসবুকে এক পোস্টে জানিয়েছেন, মৃত্যুর দুদিন আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণও ধরা পড়েছিল তার বাবার।
গত শতকের সত্তর থেকে নব্বইয়ের দশকে মঞ্চ আর টেলিভিশনে দাপুটে অভিনয়ের জন্য দর্শক হৃদয়ে স্থায়ী আসন নিয়ে আছেন আলী যাকের। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই নাট্যজনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বিশিষ্টজনেরা।
আরও হারিয়েছি যাদের
২০ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান অভিনেত্রী, নির্দেশক ও আবৃত্তিশিল্পী ইশরাত নিশাত।
দেশের জনপ্রিয় সুরকার সেলিম আশরাফ মারা যান ২ মার্চ। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি শ্বাসকষ্ট ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন। ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তি সেনা’সহ একাধিক জনপ্রিয় গানের সুরকার আশরাফ।
টেলিভিশন নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাবেক সভাপতি, দেশের সুপরিচিত নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্য পরিচালক হাসান ইমাম ১৫ মে সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান।
চলচ্চিত্র প্রযোজক জনাব মোজাম্মেল হক সরকার ৩১ মে মারা যান।
৬ জুন মারা গেছেন সহস্রাধিক সিনেমার নৃত্য পরিচালক এস আলম।
অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারী, নাট্যশিল্পী স্বপন সিদ্দিকী মারা গেছেন ১০ জুলাই।
চিত্রপরিচালক আফতাব খান টুলু মারা গেছেন ২৮ জুলাই। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ল্যাব এইড হাসপাতালে সেদিন দুপুরে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফউদ্দীন খান দীপু আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
২৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজধানীর আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফউদ্দীন খান দীপু। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর।
গেল ৩ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন দেশের নামজাদা চলচ্চিত্র প্রযোজক ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সাবেক সদস্য নাসির উদ্দিন দিলু। দীর্ঘদিন ধরেই হার্টসহ বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন নাসির উদ্দিন দিলু।
টানা ছয় দিন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকার পর ১০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে গেলেন দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বৃহৎ অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সংগীতার স্বত্বাধিকারী সেলিম খান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রসম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিন্টু মারা গেছেন ১৮ ডিসেম্বর দিবগত রাতে। তিনিও করোনায় আক্রান্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
এলএ/এমএস