রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ


প্রকাশিত: ০৮:৫১ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় হলের পাশে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা ভর্তিচ্ছুদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে হলের সামনে স্ট্যান্ড করা মোটরসাইকেলের ওপর বসা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে রাবি ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান ছাত্রলীগ কর্মী সারোয়ার হোসেনকে মারধর করে। পরে তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সারোয়ার রাবি ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।

এর জের ধরে রাত সোয়া ৯টার দিকে হলে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানার সহযোগী রাবি ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি রানা চৌধুরী, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাকিম বিল্লাহ (বহিষ্কৃত) ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পলাশের (বহিষ্কৃত) সঙ্গে গোলাম কিবরিয়া ও রাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে সভাপতি মিজানুর রহমান রানা ও কিবরিয়া-রুনু গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও কিল-ঘুষির ঘটনা ঘটে। এনিয়ে হলে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। হলের পাশে রাত পৌনে ১০টার দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

রাবি ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে তুচ্ছ কারণে আমার এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে রাগের মাথায় ঝামেলা হয়েছে। ’

এ ব্যাপারে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রানার সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হল প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ওদের মাঝে ঝামেলা হয়েছিল। এখন হলের পরিস্থিতি শান্ত আছে। আর যাতে কিছু না হয় সেজন্য নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলবো।’

রাশেদ রিন্টু/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।