দীপ্ত টিভিতে আসছে তুরস্কের নতুন ধারাবাহিক
সুলতান সুলেমান, কোসেম সুলতান ও দিরিলিস এরতুগ্রুল নামক ধারাবাহিকগুলো দিয়ে দুনিয়া মাতিয়েছে তুরস্ক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিগ বাজেটের এসব নাটক দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষস্থান দখল করেছে। বাংলাদেশেও দীপ্ত টিভিতে প্রচারের পর ‘সুলতান সুলেমান’ দারুণ সাড়া পায়।
সেই ধারাবাহিকতায় আরও বেশ কিছু তুর্কি নাটক প্রচার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন চ্যানেলে। এবার দীপ্ত টিভি প্রচার করতে যাচ্ছে আরও একটি নতুন নাটক। এর নাম ‘ফেরিহা’।
মেহমেত, ফেরিহা আর ওমের এই তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে রিযা ও যেহরার সংসার। একটা বিলাসবহুল অ্যামার্টমেন্টের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে পুরো পরিবার। সমাজের নিচুস্তরের স্বপ্নাতুর মানুষের জীবনকে ঘিরে নির্মিত তুরস্কের জনপ্রিয় এই সিরিয়াল। এক পরিশ্রমী, সৎ ও নিষ্ঠাবান গৃহকর্মীর গর্ভে জন্ম নেয় সিরিয়ালের কেন্দ্রীয় চরিত্র -ফেরিহা।
এই গল্পের নাম ভূমিকায় নায়িকা ফেরিহা থাকলেও, কোথাও না কোথাও এ যেন তার মা যেহরা'র গল্প। যে কিনা ইস্তাম্বুলের ধূলোবালি পরিস্কার করতে করতে স্বপ্ন দেখে তার তিন ছেলেমেয়ে একদিন মানুষের মত মানুষ হবে। তখন সে এই ধূলোমাখা জীবন থেকে মুক্তি পাবে। যেহরার মত তার বড় দুই ছেলেমেয়েও স্বপ্নবিলাসী।
কিন্তু বাবা মায়ের মত চারিত্রিক দৃঢ়তা তাদের নেই। তাই তারা নিজেদের অজান্তেই জড়িয়ে পড়ে মিথ্যা আর অন্যায়ের জটিল জালে। মেধাবী ছাত্রী ফেরিহা নিজের যোগ্যতায় পড়ার সুযোগ পায় দেশের এক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই সূত্রে তার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এমির নামে অভিজাত পরিবারের এক ছেলের সাথে। কিন্তু নিজের অবস্থান ধরে রাখতে, আসল পরিচয় গোপন করে ফেরিহা। আর সেই মিথ্যাই জটিল থেকে জটিলতর করে তোলে ফেরিহার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত।
এদিকে কাকতালীয়ভাবে এমিরেরই গাড়ি চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হয় ফেরিহার ভাই মেহমেত। অতঃপর নতুন করে ঋণের বোঝা চাপে অসহায় বাবা মায়ের উপর। পরিবারের শত কষ্ট দেখেও, ফেরিহা এ নিয়ে এমিরকে কিছুই বলতে পারে না। বলতে পারে না নিজের বাস্তবতার কথা। এভাবেই ওদের বলা না বলার সংশয় আর সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার সংগ্রাম নিয়ে এক অভিনব নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় এই সিরিয়ালের পর্বগুলো।
দীপ্ত টিভির অভিজ্ঞ ডাবিং টিমের পরিচর্যায় গল্পটি হয়ে উঠেছে আরো প্রাণবন্ত, আকর্ষণীয়। অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান মুরাদ, শারমিন হোসেন, আইরিন পারভীন, রেজওয়ান মোর্শেদ, কে এম আল ইফতেখার, সামসুন্নাহার ও ফেরদৌস বেনজীর বৃষ্টি।
কণ্ঠাভিনেতা ও কণ্ঠাভিনয় পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন রুবাইয়া মতিন গীতি। ধারাবাহিকটি প্রযোজনা করেছেন তসলিমা তাহরিন। বিভিন্ন চরিত্রে বাংলাদেশ থেকে যারা রয়েছেন জয়শ্রী মজুমদার লতা (ফেরিহা ইলমায), মশিউর রহমান দিপু (এমির সাররাফওলু), সঙ্গীতা চৌধুরী (যেহরা ইলমায), আলবিনো জর্জ পাইক (কোরাই ওনাত), মেহেবুবা মিনহাজ বিপা (হান্দে গেজগিন), রুবাইয়া মতিন গীতি (সানেম ইলহানলি), মোর্শেদ সিদ্দিকী মরু (মেহমেত ইলমায), নাহিদ আখতার ইমু (জানসু ইলহানলি), সাঈদ সুমন (উনাল সাররাফওলু), হিন্দোল রয় (রিযা ইলমায), পর্ণা মিটিল্ডা কস্তা (লারা আতাবেলি), খায়রুল আলম হিমু (হালিল), আইসুন (মেহেজাবীন মুমু), ওরহান (মো. জায়েদ জুলফিকার), মেরিনা মিতু (রুমেইসা)।
এলএ