রোগীর সেবাতেই জীবনের সত্যিকারের সুখ নিহিত


প্রকাশিত: ০৭:২১ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৫

রোগীর সেবাতেই নিহিত রয়েছে জীবনের সত্যিকারের সুখ বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।

তিনি বলেন, জীবনে সুখ পাওয়ার জন্য আমরা সমগ্র জীবন সংগ্রাম করে চলছি। কিন্তু সত্যিকারের সুখ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে চিকিৎসা পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারী, ক্লিনার সকলেই রোগীকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে সহজেই সে সুখ খুঁজে পেতে পারেন।

সোমবার সকালে শহীদ ডা. মিলন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট নার্সিং বিভাগের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ‘ক্যাপিং সেরিমনি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছো বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন মিয়া, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাহানা আখতার রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ’র নার্সিং ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. এ কে এম শরীফুল ইসলাম।

আরো বক্তব্য রাখেন ডিপার্টমেন্ট অব গ্রাজুয়েট নার্সিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেবেল ডি রোজারিও। ক্যাপিং সেরিমনি অনুষ্ঠানে বিএসসি নার্সিং কোর্সের ২৪ শিক্ষার্থীকে ক্যাপ পরানো ছাড়াও ছিল শপথ এবং দেশপ্রেম ও শিক্ষামূলক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান আরো বলেন, ভালো ব্যবহারেই রোগীর রোগ অর্ধেক ভালো হয়ে যায়। তাই চিকিৎসা পেশার সাথে যারাই জড়িত তাদের বুকের ভেতর যত কষ্টই থাক, হাসি মুখে রোগীকে সেবা দিতে হবে। নার্সরাই ২৪ ঘণ্টা রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন। তাই নার্সরাই রোগীদের সবচেয়ে আপনজন।

এ সত্যকে উপলব্ধি করেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সবৃন্দ কর্তৃক রোগীদের হাসি মুখে নিজ হাতে ওষুধ খাওয়ানো নিশ্চিত করা হয়েছে।

এসময় নার্সিং পেশার উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য ভিসি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এমইউ/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।