হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা উস্কে দিচ্ছে ওয়েব সিরিজ

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৬ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২০

বিনোদন জগতে সময়ের নতুন সংযোজন ওয়েব সিরিজ। সিনেমার আদলেই তৈরি হওয়া নির্মাণগুলো অনলাইনে মুক্তি দিয়ে এই নাম দেয়া হচ্ছে। বেশ রমরমা ওয়েব সিরিজের বাজার। বিশেষ কোনো নিয়ম-নীতিমালা না থাকার যার যেমন খুশি তেমন গল্প, চরিত্র, সংলাপ ও দৃশ্য দিয়ে ভরিয়ে রাখা হয় এসব সিরিজ।

এরইমধ্যে ভারতের বেশ কিছু ওয়েব সিরিজ নিয়ে নানা রকম অভিযোগ উঠেছে। কিছু সিরিজ আন্দোলনের মুখেও পড়েছে।

এবার আঙুল উঠেছে পঙ্কজ ত্রিপাঠীর জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘মির্জাপুর’র দিকে।

সিরিজটি প্রথম সিজন বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এবার দ্বিতীয় সিজন প্রকাশ হয়েছে। প্রথম সিজনের মতো দ্বিতীয় সিজনও দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু সিরিজ নিয়ে মোটেই খুশি নন খোদ মির্জাপুরের সাংসদ অনুপ্রিয়া প্যাটেল।

তার অভিযোগ, অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পাওয়া এই ওয়েব সিরিজে মির্জাপুরকে হিংসায় পরিপূর্ণ শহর হিসেবে দেখানো হয়েছে। যেখানে হিন্দু-মুসলিম জাতিগত বিদ্বেষ ছড়িয়ে রয়েছে ভয়ংকরভাবে। বাস্তবে কিন্তু তা নয় মোটেও।

গত শনিবার অনুপ্রিয়া টুইট করেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে মির্জাপুর শহরে প্রচুর উন্নতি হয়েছে এবং তার শহর ‘একতার কেন্দ্র।’ সেইসঙ্গে টুইটে তিনি যোগ করেছেন, ‘কিন্তু ‘মির্জাপুর’ নামক ওয়েব সিরিজে দেখানো হয়েছে, শহরটা হিংসার ঘাঁটি। আমাদের শহরের বদনাম করছে এই সিরিজ। জাতিগত হিংসা উসকে দিচ্ছে।’

আরেকটি টুইটে অনুপ্রিয়া দাবি করেছেন, ‘ওয়েব সিরিজের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে।’

গত ২২ অক্টোবর অ্যামাজন প্রাইমে ‘মির্জাপুর’-এর দ্বিতীয় সিজন মুক্তি পায়। জনপ্রিয় সিরিজে অখণ্ডানন্দ ত্রিপাঠীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। অখণ্ডানন্দ একজন মাফিয়া ডন, যার অঙ্গুলিহেলনে মির্জাপুর চলে। দ্বিতীয় সিজনে ত্রিপাঠী পরিবার থেকে শহরের মালিকানা ছিনিয়ে নিতে চায় গুড্ডু পণ্ডিত (আলি ফজল)।

সিরিজে অভিনয় করেছেন হর্ষিতা গৌর, শ্বেতা ত্রিপাঠী, রসিকা দুগল, বিক্রান্ত মাসে, দিব্যেন্দু শর্মাসহ আরও অনেকেই।

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।