শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ পণ্ডিত যশরাজের জীবনাবসান

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৫৪ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২০

চলে গেলেন ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীতশিল্পী পণ্ডিত যশরাজ। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তার মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন কন্যা দুর্গা যশরাজ।

জানা গেছে, অনেক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। শাস্ত্রীয় সংগীতের জন্য ভারতে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রীর মতো একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন ‘পণ্ডিত জি’। রয়েছে বহু বিদেশি পুরস্কার ও সম্মানও। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ শিল্পীকূল।

১৯৩০ সালের জানুয়ারি মাসে হরিয়ানার হিসারে জন্মগ্রহণ করেন যশরাজ। মধ্যবিত্ত ব্রাহ্মণ পরিবার। খুব স্বাভাবিকভাবেই শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় ছোটবেলা থেকেই। বাবা পণ্ডিত মতিরামের কাছেই প্রথম শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নেন যশরাজ। কিন্তু সেই তালিম পূর্ণ হওয়ার আগেই মাত্র চার বছর বয়সে বাবাকে হারান যশরাজ। তার বড় দাদা, পণ্ডিত প্রতাপ নারায়ণও শাস্ত্রীয় সংগীতের একজন মহান শিল্পী ছিলেন, যার দুই ছেলে যতীন-ললিত পরবর্তীকালে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে বলিউডে প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন।

গুজরাতের সানন্দ থেকে মেওয়াতি ঘরানার সংগীতের তালিম নিয়েছিলেন যশরাজ। ১৯৪৬ সালে কলকাতায় চলে আসেন পণ্ডিত যশরাজ। সারা বিশ্বেই ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত বললেই একবাক্যে উঠে আসত যশরাজের নাম। সেই তিনিই এবার চলে গেলেন অচীনপুরে।

গত বছর মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পণ্ডিত যশরাজের নামে একটি ছোট গ্রহের নামকরণ করে। ভারতীয় সংগীতের প্রথম শিল্পী হিসেবে এই দুর্লভ সম্মান পান পণ্ডিত যশরাজ। ৯০ বছরের এই ক্ল্যাসিক্যাল গায়কের নামে গ্রহটির নাম দেওয়া হয় ‘পণ্ডিত যশরাজ (৩০০১২৮)’। এই ছোট গ্রহটিকে ২০০৬-এর ১১ নভেম্বর খুঁজে পাওয়া যায়। মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মাঝে একটি গ্রহাণুপুঞ্জে একটি ছোট গ্রহটির অবস্থান। এর আগে তার নামে একখণ্ড চাঁদের নাম রাখা হয়েছিল।

সম্প্রতি অ্যামাজন প্রাইমের ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’ নামে মিউজিকাল ড্রামার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। অক্ষত পারেখের পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে পণ্ডিত যশরাজ তার ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’-এর জন্য শুভেচ্ছা জানান।

এমআরএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।